শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম

ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর দশমিনাতে পারিবারিক কলহের জেরে মো. কাওসার (২২) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী ফারজানা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত কাওসার ওই গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় কাওসারের সঙ্গে পরিচয় হয় ফারজানার। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক প্রেমে গড়ায় এবং পরে বিয়ে করেন। কাওসার ছিলেন ফারজানার দ্বিতীয় স্বামী। ফারজানার আগের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমের টানে কাওসারকে বিয়ে করে তিনি আউলিয়াপুরে চলে আসেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার খেয়ে ঘরের পাটাতনে স্বামী-স্ত্রী শুয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলে ফারজানা ওড়না দিয়ে কাওসারের চোখ বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত কাওসার বলেন, ঢাকায় ফারজানার সঙ্গে পরিচয় হয়, পরে তাকে বিয়ে করে বাড়িতে আনি। জানতাম না তার আগের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। আজ ফারজানা তার বাবার বাড়ি রংপুরে যাওয়ার কথা ছিল।

তিনি বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে পুরুষাঙ্গে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমি রক্ত দেখে চিৎকার করে নিচে নেমে মেঝেতে পড়ে যাই। জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে।

ফারজানা বলেন, কাওসার আমাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এমনকি বাসার প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল বিক্রি করে আমাকে বিয়ে করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, বিয়ের তিন মাস পার হয়নি। আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয় না, তার মা সবসময় নজরদারি করে। আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমি এ কাজ করেছি।

দশমিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ঘটনার বিষয়ে এইমাত্র শুনলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Link copied!