জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফেনীতে ছাত্রহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ ২২১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ আক্তারের আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে ৪ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সমাবেশের ওপর হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীরা নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ও গুলি চালান। এ ঘটনায় ৮ জন নিহত ও শত শত ছাত্র-জনতা আহত হন। ওই ঘটনায় নিহত হন সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামের মাহমুদুল হাসান মাসুম।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২১ জনের নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
এজাহারভুক্ত ১৬২ জনের মধ্যে ১৫৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। অতিরিক্ত তদন্তে যোগসাজশ পাওয়ায় আরও ৬২ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী রয়েছেন।
পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘এ মামলায় ৫১ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।’
আপনার মতামত লিখুন :