উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী কলার হাট। সপ্তাহে দুই দিন বসে এ কলারহাট।
যেখানে প্রতিহাটে বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার কলা। এ অঞ্চলের কলার সুনাম থাকায় দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এ কালীবাড়ির কলা এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দেড় লাখ জনসংখ্যার অধ্যুষিত বেতাগী উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বিষখালী নদীর কোল ঘেঁষে কালীবাড়ির কলার হাট চলে আসছে। বেতাগী পৌরসভার কালীবাড়ি এলাকায় শনি ও বুধবার বসে এ হাট। শত বছর ধরে চলে।
আসা ঐতিহ্যবাহী এ হাটে বিভিন্ন জাতের কলা বিক্রি করে আসছেন কৃষকরা। বেতাগী পৌরসভা ছাড়াও বিবিচিনি, বেতাগী সদর ইউনিয়ন, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ, সরিষামুড়ি, সোনারবাংলা, শৌলজালিয়া, আওড়াবুনিয়া ও নিয়ামতি থেকে ট্রলার, ভ্যান, মাহিন্দ্রায় করে কৃষকরা তাদের বাগান থেকে সাগর, চিনি, চম্পা, সবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলা এনে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য সারি সারি করে সাজিয়ে রাখেন। জাত ও আকার ভেদে কলা প্রতি কানি বিক্রি হয় দুইশ থেকে তিন শত টাকা পর্যন্ত। যেখানে দুই ঘণ্টার এ হাটে বিক্রি হয় ১৫-২০ লাখ টাকার কলা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, এ বছর বেতাগীতে তিনশ ৫৫ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় উপজেলার বিখ্যাত সবরি ও অমৃত সাগর কলা। এ অঞ্চলের কলা বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সব মানুষের কাছে চাহিদা রয়েছে অনেক।