চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবু মো. আরিফকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩ কর্মকর্তাকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
পদাবনতি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. তরিকুল ইসলামকে ম্যানেজার (ফার্ম) থেকে প্রোডাকশন অফিসার (লাইভস্টক) পদে, আদিত্য চৌধুরীকে জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারি সার্জন থেকে প্রোডাকশন অফিসার (পোলট্রি) এবং পাপিয়া সেনকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে পদাবনতি করা হয়।
তরিকুল এবং আদিত্য ষষ্ঠ গ্রেডের এবং পাপিয়া সপ্তম গ্রেডের ছিলেন। বর্তমানে তাদের নবম গ্রেডে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৩ জনকে পদাবনতি দিয়ে আগেই প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সবশেষ রোববার একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। আগের ৩ জনকে নিয়ম ভেঙে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। তাই তাদেরকে পুনরায় পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। আরেকজন ৫ আগস্টের পর থেকে ছুটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত এবং পদাবনতি হওয়া ৪ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। এ ছাড়া পাপিয়া সেন নওফেলের চট্টগ্রামের ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশের স্ত্রী।