গত এক বছরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৫ নেতাকর্মী। একই সময় অন্তত ৫০ থেকে ৭০ জন নেতাকর্মী মারামারিতে আহত হয়েছেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজি নিজাম উদ্দিন, বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন ও জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সদস্যপদসহ বহিষ্কার করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। তবে বিরোধ থামাতে পারছে না দল।
দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার মিরসরাই উপজেলা ও পৌর কমিটির কার্যক্রম অনুমোদন এবং কিছু ক্ষেত্রে স্থগিত ঘোষণা করেছেন। এরপরও দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্যের লড়াই প্রকাশ্যে আসে।
ঘটনাগুলোতে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি
২৬ মার্চ- বারইয়ারহাট কলেজ শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে পথচারী মো. জাবেদে (৪৫) নিহত। ৩০ জন আহত।
১৩ জানুয়ারি- মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষে যুবদল নেতা জাহেদ হোসেন মুন্না (২২) নিহত, ৮ জন আহত। ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ সেপ্টেম্বর- মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে গণপিটুনিতে বিএনপি নেতা মো. রফিক (৪৫) নিহত, ৭ জন আহত।
৫ আগস্ট- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নিখোঁজ হওয়া যুবদল কর্মী ছায়েদ আলম (৩৫)-এর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার।
১০ অক্টোবর- পূর্ব শত্রুতার জেরে কবির আহ্ম্মদ (৭০) নামের বিএনপি নেতা খুন, ৪ জন আহত।
মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের অনেক মামলায় এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কিছু আসামি এখনো প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান ও জোরারগঞ্জ থানার (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।