চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক সংযোগস্থল চাতরী চৌমুহনী সিইউএফএল মোড় প্রতিদিনই তীব্র যানজটের শিকার হচ্ছে। অবাধে গাড়ি থামানো, সিএনজি ও অটোরিকশার এলোমেলো পার্কিং এবং যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই মোড় কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এতে সাধারণ পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার নির্দিষ্ট স্থানে সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড করার নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না চালকরা। বরং মোড়ের আশপাশে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় প্রতিনিয়ত ২০-৩০টি সিএনজি ও অটোরিকশা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শুধু তাই নয়, ট্রাফিক পুলিশের নজরদারির অভাব এবং কিছু প্রভাবশালী মহলের মদদে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব দোকান নিয়মিতভাবেই সড়কের একাংশ দখল করে রাখছে।
আনোয়ারা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মো. বদরুল হক বলেন, ‘যতদিন না অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নির্দিষ্ট ও স্থায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে, ততদিন এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কেবল প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপই এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।’
অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (টিআই) আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, ‘আমরা যানজট নিরসনে কাজ করছি।’ তবে সমস্যার গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি কি না আপনি অফিসে এসে দেখে যান।’
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের এমন দায়সারা মনোভাব ও কার্যকর তদারকির অভাবই সমস্যাকে দিন দিন আরও জটিল করছে।
তারা বলছেন, অবিলম্বে কঠোর নজরদারি, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া চাতরী চৌমুহনী মোড়ের যানজট থেকে মুক্তি মিলবে না।