বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

ধামরাইয়ে পুলিশের বাড়ি ভেঙে জমি দখল

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকার ধামরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নির্মিত ১৩ কক্ষের টিনশেড বাড়ি ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৭ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাত্তারের ছেলে মো. আতিকুর রহমান ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল সাত্তার বর্তমানে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।

তিনি জানান, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধের জেরে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন, আল মামুন, আমির হোসেনসহ আরও ১৫-২০ জন লোক নিয়ে এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে তার ১৩ কক্ষের বাড়িটি ভেঙে দেন। এতে দরজা-জানালা, টিন, বেসিনসহ ঘরের মালামাল নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় তার প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সাত্তারের দাবি, ২০১১ সালে তিনি মিনহাজ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১১ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন এবং তা ভাড়া দেন। তবে জমি নিয়ে আগে থেকেই মিনহাজ ও সাদ্দামদের মধ্যে মামলা চলছিল। জমি কেনার পরেও আদালতে মামলাটি চলমান ছিল।

তিনি আরও জানান, আদালত ওই জমিতে উভয় পক্ষের যেকোনো ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন, সেই অনুযায়ী তিনি ভাড়াটিয়াদের বের করে বাড়িটি ফাঁকা রাখেন।

তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেই রোববার ভোরে দেশীয় অস্ত্রসহ ২০-২৫ জন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িটি গুড়িয়ে দেন অভিযুক্তরা। এ সময় স্থানীয়দের কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পাননি।

ভুক্তভোগীর ভাতিজা রাসেল বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন, কিন্তু অস্ত্রধারী লোকজন দেখে তিনি ভয়ে বের হতে পারেননি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আল মামুন বলেন, ‘২০০৩ সালে মিনহাজের সঙ্গে জমি নিয়ে আমাদের মামলা হয় এবং ২০০৫ সালে আমরা আদালতের রায় পাই। সাত্তার ২০১১ সালে সেই জমি কেনেন। এখনো একটি মামলা চলমান রয়েছে এবং সেই মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে। আমরা এখন সেই মামলার প্রক্রিয়াতেই কাজ করছি।’

তবে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা অবস্থায় জমি দখল ও বাড়ি ভাঙার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আল মামুন বলেন, ‘আমাদের জায়গায় আমরা কাজ করব, এটা তো স্বাভাবিক।’

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বালিথা এলাকায় বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Shera Lather
Link copied!