ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

‘সিরিয়াল কিলার’ নান্নুর সেকেন্ড ইন কমান্ড রেজাউল হত্যা, খুনিরা অধরা

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
নিহত রেজাউল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে ‘সিরিয়াল কিলার’ নান্নুর সেকেন্ড ইন কমান্ড ৯টি মামলার আসামি রেজাউল ইসলামকে। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি, আটক হয়নি কোনো খুনি।

রেজাউল ইসলাম (৪৮) কাশিমপুর ইউনিয়নের দৌলতদিহি গ্রামের মৃত গোলাম তরফদারের ছেলে। 

একসময় আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কৃষিকাজে মনোযোগ দেন। 

পরিবার দাবি করছে, সাম্প্রতিক সময়ে তার কারো সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল না।

নিহতের স্ত্রী শিউলী বেগম জানান, ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউল বাড়ির ছাদে বসে ছিলেন। হঠাৎ মোবাইল ফোনে কল আসে। এরপর তিনি বাইরে গেলে কিছুক্ষণ পরই হত্যাকাণ্ড ঘটে। তার ধারণা, মোবাইলের কললিস্ট বিশ্লেষণ করলে খুনের সূত্র মিলতে পারে।

রেজাউলের ছেলে মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কোনো নোংরামিতে জড়াতে চাই না। কারা খুন করেছে জানি না, তাই অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশের কাছে আশা, নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করে প্রকৃত খুনিদের ধরবে।’

অন্যদিকে নিহতের ভাগ্নি ময়না খাতুন দাবি করেন, স্থানীয় চার ব্যক্তি—ওহাব, আইয়ুব খান, ফরিদ ও বাবলুর ইন্ধনেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। 

তিনি জানান, ১৯৮৯ সালে একই পরিবারের লোকজন রেজাউলের বাবা ও ভাইকে খুন করেছিল। এবারও পরিকল্পিতভাবে পরিবারকে নিঃস্ব করতে রেজাউলকে হত্যা করা হয়েছে।

কিছু স্থানীয়ের মতে, রেজাউল ছিলেন কুখ্যাত মোখলেছুর রহমান নান্নুর সহযোগী। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের ২ হাজার ইয়াবা গায়েব করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই হয়তো এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

আরও কয়েকজন জানান, ঘটনার রাতে একটি ভ্যানে করে অপরিচিত কয়েকজনকে গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে রেজাউলের কথাবার্তাও হয়েছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘হত্যার মোটিভ উদঘাটন ও খুনিদের শনাক্তে চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের আটক করা সম্ভব হবে।’