যশোরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২৬ নভেম্বর) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, কেন্দ্র ঘোষিত চার দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর অর্ধদিবস (৮টা–১২টা) এবং ৪ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় যশোর জেলার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ আরও জানান, আগামি চার দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি,ফার্মেসী, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ফিজিওথেরাপি ও দন্তসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
নেতৃবৃন্দের মতে, বাংলাদেশের সকল ডিপ্লোমাধারী পেশাজীবীদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ক্ষেত্রে দশম গ্রেড এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো সত্ত্বেও অগ্রগতি না হওয়ায় পেশাজীবীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বর্তমানে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে যশোরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্ট ঐক্য পরিষদ ও এমটিএফ মানববন্ধন করেছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এমটিএফ সভাপতি হাসানুজ্জামান, ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি ফার্মাসিস্ট জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় রায়, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ফার্মাসিস্ট রাজু আহম্মেদ, প্যাথলজি ল্যাব ইনচার্জ পারভেজ হোসেন, ব্লাড ব্যাংক ইনচার্জ চঞ্চল, জেলা স্কুল হেলথ ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট রতন কুমার সরকার, ফিজিওথেরাপিস্ট মেহেদী হাসান প্রমূখ। ওই দিন দাবি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে লাগাতার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।


