ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

গান্নায় জমতে শুরু করেছে ফুলের বাজার, কম দামে শঙ্কায় চাষিরা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
ফুলসহ চাষিরা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীতকালীন ফুল ওঠা শুরু করেছে। পহেলা নভেম্বর থেকে সদর উপজেলার গান্না বাজারে চাষিরা ফুল বিক্রির জন্য আনা শুরু করেন।

সকাল ১০টা পর্যন্ত বাজারে সরাসরি বেচাকেনা চলে। এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুল পৌঁছে দেন। বছরটি ফলন ভালো হলেও দাম কম হওয়ায় অনেক চাষি খরচ তুলতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কিত। ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা দেশি চাহিদার বড় অংশ জোগান দেন।

খুলনা বিভাগের মধ্যে এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয়। বিশেষ করে হলুদ ও কমলা গাঁদার মান, আকার ও রং দেশের বড় পাইকারদের নজর কাড়ে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।

সার্ভে ও সরেজমিন দেখা যায়, হলুদ ও কমলা গাঁদার সমাহার। এক ঝোপা গাঁদা ফুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হলুদ গাঁদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি পিস গোলাপ ৫-৮ টাকা, রজনীগন্ধা ১৫-১৮ টাকা, জারবেরা ১০-১২ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১-২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চান্দেরপোল গ্রামের চাষক শংকর কুমার মল্লিক জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে গাঁদা চাষ করেছেন। প্রতিদিন ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়, যা প্রতি ৫০ গ্রাম ১৮০ টাকার। প্রতি শতাংশ ফুল চাষে খরচ হয় ১৫০০-৩০০০ টাকা। এ বছর দাম কম হওয়ায় খরচ তুলতে পারা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

বাজারের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি দাউদ হোসেন বলেন, ২০১০ সালে কৃষি বিপণন বিভাগ স্থানীয় চাষিদের নিয়ে গান্না বাজার প্রতিষ্ঠা করে। নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত স্থানীয় ফুল বিক্রি হয় এখানে। সাধারণ দিনে ৩-৪ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ দিবসগুলোতে ৩৫-৬০ লাখ টাকার পর্যন্ত ফুল বিক্রি হয়। তবে এ বছর দাম অনেক কম।

উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। পর্যাপ্ত সার সরবরাহ ও কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থার বিষয়েও আমরা চিন্তা করছি।