জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দুধ বিক্রি হচ্ছে পানির চেয়েও কম দামে। সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫-৩০ টাকা, যা বাজারের বোতলজাত লিটার পানির চেয়েও ১০-১৫ টাকা কম।
বাজারে দুধের সরবরাহ বেশি এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক খামারি এখন বাধ্য হয়ে কম দামে দুধ বিক্রি করছেন। অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার বাইগুনী চারমাথা বাজারে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই আশপাশের প্রায় ১০-১২ গ্রামের স্থানীয় খামারি ও কৃষক বাজারে দুধ বিক্রি করতে এসেছেন। মানভেদে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা লিটার। ৩০-৩৫ মন দুধ কেনাবেচা হয় বাইগুনি চারমাথা বাজারে।
মোহাইল গ্রাম থেকে দুধ নিয়ে আসা খামারি রাশেদুল ইসলাম বলেন, আজকে দুধের দাম পাইলাম ৩০ টাকা, যা অন্যদিনের তুলনায় কম—ভূষি ও খৈল কেনার টাকা ও হয় না।
বাইগুনী থেকে দুধ বিক্রি করতে আসা আব্দুল ওহাব বলেন, ৩০ টাকা দরে দুধ বিক্রি করলাম, গো-খাদ্য কিনে চা খাওয়ার পয়সাও রইল না।
বাগোইল গ্রামের মেহেদুল বলেন, দুধের যে দাম তাতে গরু পালন করাই কঠিন। সরকারের কাছে দাবি জানাই স্থানীয়ভাবে নির্দিষ্ট মূল্যে যেন দুধ ক্রয় করা হয়। এতে কিছুটা হলেও আমাদের মতো কৃষকের উপকার হবে।
বাইগুনী বাজারের দুধ ব্যবসায়ী মো. ছানাউল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বর্ষাকালে দই, মিস্টি ও ছানার চাহিদা কম থাকে। তাই দুধের দাম এখন অনেকটা কম।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, মাঠ ফাঁকা ও পর্যাপ্ত ঘাস থাকার কারণে দুধের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি বছর এ সময়ে দুধ ও ছানার চাহিদা কম থাকে, তাই দুধের দাম কমে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আবার ঠিক হয়ে যাবে।