খুলনার দৌলতপুরে জুমার নামাজে যাওয়ার পথে যুবদল নেতা মাহবুব মোল্লা (৩৫) দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা—তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে নগরীর দৌলতপুর থানার পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকায় নিজ বাসার সামনেই হামলার শিকার হন তিনি। মাহবুব মোল্লা জুমার নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
নিহত মাহবুব মোল্লা দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব বাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তার শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় তারা।
এলাকাবাসীরা জানান, হামলাকারীদের একজন হেলমেট পরা ছিল, তবে অন্য দুজনের মুখ খোলা ছিল। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটে যে প্রতিবেশীরা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।
স্থানীয়রা দ্রুত মাহবুবকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এখনো হত্যার পেছনের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্র জানায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংশ্লিষ্ট একটি ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাহবুবকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
দৌলতপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।