নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আমলাব এলাকায় পারভেজ হাসান (৩৫) নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল সমকামিতার গোপন সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত পারভেজ হাসান পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর পূর্বচরতারাপুর এলাকার মৃত মজিদ সরদারের ছেলে। তিনি রূপগঞ্জের আমলাব এলাকার গিয়াসউদ্দিন মোল্লার ছয়তলা বাড়ির একটি চিলেকোঠায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার সঙ্গে থাকতেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
নিহতের বড় ভাই ঝন্টু সরদার বলেন, ৪ জুলাই বিকেলে ফোনে সংবাদ পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে পারভেজকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পান, বুক, পেট, হাত ও কোমরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে পারভেজ মারা যান।
পরিবারের দাবি, ৩ জুলাই বিকেলে পারভেজের ভাড়া বাসায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার মোটিভ জানতে পারিবারিকভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা জানতে পারেন, পারভেজের সঙ্গে এক যুবকের ঘনিষ্ঠ সমকামী সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে সন্দেহ।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং সম্ভাব্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিই। প্রাথমিক তদন্তে সমকামিতার সম্পর্কজনিত জটিলতার বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না- তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :