স্বর্ণকার যখন ডাক্তার!

বাইক রাইডার, তারপর স্বর্ণকার, সর্বশেষে ডাক্তার! আলাদিনের চেরাগের মতোই যেন পেশা বদলে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বরগুনার বেতাগীতে ডাক্তার সেজে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসা সেই জাহাঙ্গীর আলমকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিপুল সিকদারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ

বিস্তারিত পড়ুন

অভিযানে দেখা যায়, অসুস্থ থাকায় জাহাঙ্গীরের চেম্বার চালাচ্ছিলেন তার ছেলে। ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে। ভবিষ্যতে আর কখনো বাবার চেম্বারে বসবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেন তার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম গ্রামের সহজ-সরল ও অশিক্ষিত মানুষদের টার্গেট করতেন। অল্প খরচে ভালো চিকিৎসার লোভ দেখিয়ে তিনি নামিদামি ক্লিনিকে রোগী পাঠাতেন এবং সেখান থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। তার ভুল চিকিৎসা ও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে অনেক রোগীর অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়ত, বাধ্য হয়ে তাদের শহরের হাসপাতালে ছুটতে হতো।

চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, সমন্বয়কসহ আটক ২০

বিস্তারিত পড়ুন

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল সিকদার বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অনুমোদনহীন চিকিৎসাসেবা শুধু বেআইনিই নয়, মানুষের জীবনের জন্যও চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’