ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

সন্তানের গলায় ছুরি ধরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ১১:১৪ পিএম
পঞ্চগড় সদর থানা। ছবি- সংগৃহীত

পঞ্চগড় সদরে দুই বছর বয়সি সন্তানের গলায় ছুরি ধরে তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার তিনমাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আজ শনিবার (৫ জুলাই) ভুক্তভোগী নারী পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মায়লায় পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) ও সাদেকুল ইসলাম (২৮)। সকলের বাড়ি সদর উপজেলায়।

ভুক্তভোগী নারী পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানান, শুক্রবার রাতে তিনি বোদা উপজেলার ভাড়া বাসা থেকে অসুস্থ ২ বছর বয়সি ছেলেকে নিয়ে ইজিবাইকে করে সদর উপজেলায় বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনমাইল এলাকায় পৌঁছালে পূর্বপরিচিত খয়বুল ইসলাম তাকে পেছনে থাকা ভ্যান থেকে ডাক দেন। ইজিবাইক থামালে পাঁচ-ছয়জন যুবক জোর করে তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা সন্তানের গলায় ছুরি ধরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা তাকে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায়।

রাত ১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অচেতন অবস্থায় ওই নারী ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, ‘আমার বাচ্চার গলায় ছুরি ধরেছিল তারা। তখন আমি নিরুপায় হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে চাইলে আমাকে তারা ভয়ভীতি দেখায়। একের পর এক ধর্ষণ করে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, পুলিশ রাতে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই এবং অচেতন অবস্থায় এক নারী ও তার শিশুকে উদ্ধার করি। চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানা যায়, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, ‘ওই নারীর চেতনা ফেরার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’