সিলেটের কানাইঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের মৃত নিখিল দাসের ছেলে শুভংকর দাস (২৭), বীরদল কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে বাবুল আহমদ (২৮) এবং চটিগ্রাম গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ফাহাদ মিয়া (২৫)। তারা সবাই পেশায় পরিবহন চালক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ভিকটিম তার মায়ের সঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১টার দিকে মা জেগে উঠে দেখতে পান মেয়ে নেই এবং ঘরের দরজা খোলা। পরিবারের লোকজন সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাননি। পরদিন বুধবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের বালুচরে তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিবারকে খবর দেন। উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়ার পর তরুণী পুরো ঘটনা জানান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বীরদল খালোমোরা থেকে শুভংকর দাস, বাবুল আহমদ ও ফাহাদ মিয়া প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে শুভংকরের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন।
ঘটনাটি জানানোর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের লোকজন কানাইঘাট থানায় গেলে পুলিশ ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
স্থানীয়দের মতে, ঘটনাটি এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বীরদল খালোমোরা এলাকায় রাস্তার পাশে একা পেয়ে অভিযুক্ত ৩ জন মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা ছাড়া ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।’