বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি কর্মকর্তার দাঁত ভেঙে দিলেন কৃষক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সার না পেয়ে উত্তেজিত কৃষকেরা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তার হোসেনকে মারধর করে তার একটি দাঁত ভেঙে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের উমরাডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে এলাকায় আলু, গম, ভুট্টা ও সরিষা আবাদের মৌসুম চলছে। মৌসুমের শুরুতেই রাসায়নিক সারের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে মঙ্গলবার রাসায়নিক সার নেওয়ার জন্য স্থানীয় কৃষকেরা উমরাডাঙ্গী বাজারে অবস্থিত সার ডিলার মল্লিক ট্রেডার্সের দোকানে ভিড় করেন।

সার বিতরণের সময় ভিড় সামাল দিতে ডিলার কয়েকজন কৃষককে একত্র করে একটি স্লিপে সার দিচ্ছিলেন। এতে অনেক কৃষকের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় যে, কোনো সুবিধার বিনিময়ে একাধিকজনকে অতিরিক্ত সার দেওয়া হচ্ছে। এই সন্দেহের জেরে কিছু কৃষক ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দায়ী করে তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

একপর্যায়ে কয়েকজন উত্তেজিত কৃষক লেহেম্বা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের ওপর চড়াও হয়ে এলাপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তার একটি দাঁত ভেঙে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উমরাডাঙ্গী বাজারে মল্লিক ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ করছিলেন। এ সময় তিনটি ভ্যানে করে পাঁচজন কৃষক একই স্লিপে ৩৩ বস্তা সার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সার না পাওয়া অন্যান্য কৃষকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং কৃষি কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন।

আরও জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুর রশিদ মামুনের অনুরোধে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা তাকে বেধড়ক মারধর করে।

মল্লিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি ব্যস্ত থাকায় পাঁচজন কৃষকের সার এক মেমোতে দিয়েছিলাম। এখানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তারের কোনো দোষ নেই।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আহত ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে আমরা ব্যস্ত। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। রাণীশংকৈল থানার ওসি জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!