বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভুত্থানের পর দেশের পট পরিবর্তনের পর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ের ফলে।

গত বছরের আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। এ বছরের মার্চ মাসের ২৬ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৯৪ কোটি ডলারের বেশি। যা একক কোনো মাসের এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ হিসাব।

ডলারের দামে স্থিতিশীলতা ও হুন্ডির চাহিদা কমায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় বেড়েছে বলে মনে করেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, যেহেতু মার্কেট রেট অফার করা হচ্ছে, মার্কেট রেট অফার করলে লোকজন কেন হুন্ডির কাছে যাবে? মার্কেট রেটেই পাঠাবে তাই না। হুন্ডির চাহিদা কমার জন্য আরেকটা পরোক্ষ রাস্তা আছে, অবৈধ পন্থায় চালিত ব্যবসা কমানো। এখনকার সরকার তো সেসব কার্যক্রমে উৎসাহ দিচ্ছে না।

যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, হুন্ডির চাহিদা কমে গেছে। হুন্ডির মাধ্যমে যারা টাকা আদান-প্রদান করত, গত আগস্টের থেকে তাদের এ চাহিদা কম। কারণ, অনেকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেছে বা আরও বিভিন্ন কারণ যোগ হয়েছে। চাহিদা কমায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের টাকা বাড়ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, উৎসবকে কেন্দ্র করে এমনিতেই প্রবাসীরা বাড়তি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। এবার ঈদের আগেও তাই হলো। এ ছাড়া, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা আছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকেরও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অসংখ্য রেমিট্যান্স যোদ্ধা ছিল, এতদিন পর্যন্ত তারা ইনফরমাল ওয়েতে দেশে টাকা পাঠাত। কিন্তু ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের চিন্তায় বড় পরিবর্তন এসেছে। তারা সবাই চাচ্ছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসুক। এই কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা বেশি আসতেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৪৪ কোটি ডলার। গত বছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার সাড়ে ৬শ’ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

ব্যাংকাররা বলছেন, হুন্ডি পুরোপুরি বন্ধ হলে এবং বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচার ঠেকানো গেলে প্রতি মাসেই ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হুন্ডি বন্ধ করা গেলে, অর্থপাচারটা বন্ধ করা গেলে প্রবাসী আয় বছরে তিন বিলিয়ন ডলার আসা অসম্ভব কিছু না। আমি বিশ্বাস করি, আগামী অর্থবছরে এটা তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।

আরিফ হোসেন খান বলেন, হুন্ডিকে তো না বলতে বলা হয়েছে। হুন্ডি কনসেপ্টটা আমাদের অর্থনীতিতে থাকা চলবে না। জানি না এটাকে শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব কি না। কিন্তু শূন্যে নামিয়ে আনার টার্গেট নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দূতাবাসগুলোর সাথে কথা বলছি, তারাও যাতে ওখানকার বাঙালি কমিউনিটির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে, তাদেরকে ব্যাংকিং সেক্টরে টাকা পাঠানোর যে সুফল সে সম্পর্কে অবগত করে।

প্রবাসী আয় বাড়তে বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানো জরুরি বলেও মনে করেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।

আরবি/জেডি

Link copied!