রাজধানীর পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ ১,৫৩,৬৪০ (এক লক্ষ তেপ্পান্ন হাজার ছয়শত চল্লিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল (৩৮), রবিন আহম্মেদ ওরফে পিয়াস (২৫), মো. রুবেল (৩৪), শামীম আহম্মেদ (২২) এবং মো. ইউসুফ ওরফে জীবন (৪২)।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত করে অভিযানে নামে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একাধিক টিম রাজধানী ঢাকা, সিলেট ও নরসিংদী জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল, নগদ ১,৫৩,৬৪০ (এক লক্ষ তেপ্পান্ন হাজার ছয়শত চল্লিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, সোমবার (১০ নভেম্বর) পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করা হয় মামুনকে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে বেলা ১২টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে একটি ভবনের গেটে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে দুই ব্যক্তি তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যান।
জানা গেছে, খুনের মামলার হাজিরা দিতে আদালতপাড়ায় গিয়েছিলেন মামুন। পরে তাকে ধাওয়া করে গুলি করা হয়।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, নিহত মামুন ‘ইমন-মামুন গ্রুপ’-এর সদস্য। তিনি একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন, পরে নিজেই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পান।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি রাজধানীর বাড্ডায় ভাড়া থাকতেন এবং সকালে একটি মামলার হাজিরা দিতে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলেন।


