চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে ফেল থেকে পাস করেছেন আরও ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মনজুরুল কবীর জানান, ‘এবার পুনর্নিরীক্ষণের জন্য ৯২ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। এতে ফল পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থীর।’
তিনি আরও জানান, ‘সবচেয়ে বেশি পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে গণিত বিষয়ে- ৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে- মাত্র ৬টি।
গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন পরীক্ষার্থী। পাস করেন ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন, যার পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। তবে গতবারের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ হাজার ৮২৭ জন কম।
পুনর্নিরীক্ষণের ফলে এখন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং নম্বর যোগে কোনো ভুল হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না- এসব যাচাই-বাছাই করে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।