বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ব্যাচটির মোট ১৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন বিশ্বের মোট ৬ দেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন।
তন্মধ্যে থাইল্যান্ডে ৩৩, মালয়েশিয়া ১০, জাপান ২, ইন্দোনেশিয়া ৩, জার্মানি ১ ও নেপাল ১ জন ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশের ১২টি স্থানে এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ইন্টার্নশিপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের এগ্রোভেট ও ক্রপ কেয়ার ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুরো ইন্টার্নশিপের রোডম্যাপ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে.এইচ.এম. নাজমুল হুসাইন নাজির।
ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, আমাদের ৫০ জন ছাত্রছাত্রী বিদেশে যাচ্ছে, আগামী বছর এ সংখ্যা ১০০ হবে আশা রাখি। মনে রাখতে হবে সততা, আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং সময় মতো উপস্থিতিই হবে প্রকৃত পরিচয়। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, লগবুক আন্তরিকতার সঙ্গে পূরণ করে তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় ভদ্র, যত্নশীল ও পরিশ্রমী থাকতে হবে। বিদেশে বা দেশে, এমন আচরণ করতে হবে যাতে সবাই শ্রদ্ধা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সুযোগ ও সময় ব্যবহারিকভাবে শেখার সঠিক সময়, এটিই মনে রাখতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, তোমরা যখন দেশের বাইরে যাচ্ছ, তখন তোমরাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত হবে। বাকৃবির ঐতিহ্য ধরে রেখে বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। তাই তোমাদের বলবো, এমন কোনো আচরণ করো না যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়।
তিনি আরও বলেন, তোমাদের পাঠ্যক্রমে এখন ইন্টার্নশিপ আছে। আগে ইন্টার্নশিপ বা ফিল্ড ভিজিট কিছুই ছিল না। এখন তোমরা সরকারি খামার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিচ্ছো, এটাই শেখার জন্য তোমাদের সুবর্ণ সুযোগ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন