চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘ভোটারদের হাতে লাগানো কালি মুছে ফেললেও কেউ দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবে না।’
এর আগে চাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া ও স্বাক্ষরবিহীন ব্যালটে ভোট নেওয়ার অভিযোগ করে ছাত্রদল ও শিবির। বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১৫ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চাকসু নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে কারচুপি করা না যায়। একবার ভোট দেওয়ার পর সেই ভোটার দ্বিতীয়বার ভোট দিতে গেলে ধরা পড়বে। ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট থাকায় এই ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে।’
ব্যালটে স্বাক্ষরবিহীন ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার আমাকে জানিয়েছেন, ভোটের শুরুর দিকে একজন কর্মকর্তা অজানাবশত ১২টি ব্যালট স্বাক্ষর ছাড়াই দিয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি রেজুলেশন করার এই মর্মে যে, এই বাক্সে ১২-১৩টি ব্যালট আছে যেগুলো স্বাক্ষর করা হয়নি। রেজুলেশনে দায়িত্বরত সবাই স্বাক্ষর করবে। পরবর্তীতে সেই বাক্স যখন খোলা হবে তখন আমরা জানবো যে সেখানে কয়েকটি স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট আছে। তাহলে আর কনফিউশন থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথমবারের মতো ভোট দিতে ব্যবস্থা করতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এখনো পর্যন্ত ভালোভাবে ভোট চলছে। আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। আমরা ভোট নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছি।’
এর আগে চাকসু ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন পূর্বে ডাকসু ও রাকসু নির্বাচনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অমোচনীয় কালি ব্যবহারের ব্যবস্থা না হওয়ায় তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, আমরা নির্বাচন বর্জন করতে আসিনি, আমরা নির্বাচন অর্জন করতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আসল রূপ আমরা উন্মোচন করব। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাক্ষরবিহীন ১০–১২টি ব্যালেট জমা পড়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন রণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হচ্ছে এবং কিছু ভোট পড়ছে না। কিছু কক্ষে পোলিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোট দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অপ্রার্থী পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।