দশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তির দোরগোড়ায় দেব-শুভশ্রী জুটির নতুন ছবি ‘ধূমকেতু’। একসময় রুপালি পর্দায় ঝড় তোলা এই জুটি অনেকটা সময় আলাদা পথে হাঁটার পর আবার ফিরছে একই ফ্রেমে। ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই ভক্তদের মনে যেন নস্টালজিয়ার ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
কিন্তু এই আনন্দঘন আবহের মাঝেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় কিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আর কটূক্তির বন্যা। তির ছুটে যায় তাদের বর্তমান জীবনসঙ্গী রাজ চক্রবর্তী ও রুক্মিণী মৈত্রের দিকে। পুরোনো প্রেমের স্মৃতিচারণার আড়ালে ব্যক্তিগত জীবনে আঘাত হানার এই প্রবণতা অনেককেই হতবাক করে।

এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে নীরবতা ভাংলেন দেব। সম্প্রতি একটি পার্টিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি খোলাখুলিভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরাসরি ক্ষমা চান রাজ ও রুক্মিণীর কাছে। দেবের কণ্ঠে তখন ছিল মিশ্র অনুভূতি—আক্ষেপ, কৃতজ্ঞতা আর দায়িত্ববোধ।
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে কিছু মানুষ ভালো কিছুকেও ইতিবাচকভাবে নিতে পারে না। রাজ আর রুক্মিণী যেভাবে বিষয়টি সামলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের পরিবারই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’
শুধু অভিনেতা নয়, প্রযোজকের আসন থেকেও দেব নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন, ‘রাজ, শুভশ্রী ও রুক্মিণীর সমর্থন না থাকলে এ কাজ সম্ভব হতো না। তাই ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ তার কথায় স্পষ্ট, এই সিনেমা শুধুমাত্র পর্দার জুটি নয়, পর্দার বাইরে থাকা সম্পর্ক ও সমর্থনেরও গল্প।

শেষে রুক্মিণীর প্রসঙ্গ টেনে দেব আবেগঘনভাবে বলেন, ‘এ ছবিতে সবার অবদান রয়েছে, বিশেষ করে রুক্মিণীর। তাকে নিয়ে আমি গর্বিত।’ যেন পুরোনো প্রেমের নস্টালজিয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়েও দেব বর্তমানের সহযাত্রীর পাশে অনড় ভরসার প্রাচীর হয়ে আছেন।
একদিকে দর্শকের চাহিদায় ফিরিয়ে আনছেন অতীতের রোমান্স, অন্যদিকে বর্তমানের বাস্তবতাকে সম্মান জানাচ্ছেন। দেবের এই ভারসাম্যই হয়তো ‘ধূমকেতু’কে নিয়ে যাচ্ছে আলাদা উচ্চতায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন