ঢাকা শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫

সমালোচনার তুঙ্গে ‘রকস্টার’ জোভান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
জোভানের ‘রকস্টার’ লুক ও তার অতিনাটকীয় অভিনয়। ছবি- সংগৃহীত

ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিএমভি প্রযোজিত নাটক ‘আশিকি’র টিজার প্রকাশের পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান।

নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন নীহার বিপরীতে এই নাটকে তাকে দেখা যাবে এক মধ্যবিত্ত তরুণের ভূমিকায়, যার স্বপ্ন গায়ক হওয়া। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্নপূরণের চেয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে অভিনেতার অভিনয়শৈলী ও পর্দার উপস্থাপন নিয়ে, আর তা খুব একটা ইতিবাচক নয়।

টিজার প্রকাশের পর থেকেই সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য সমালোচনা, মিম, ব্যঙ্গ ও ট্রল। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে জোভানের ‘রকস্টার’ লুক ও তার অতিনাটকীয় অভিনয়।

আবেগঘন দৃশ্যে তার মুখাবয়ব, সংলাপ বলা, চোখের অভিব্যক্তি এবং বিশেষ করে গানের সঙ্গে তার লিপসিঙ্ক সবকিছুই দর্শকদের একাংশের কাছে অসহনীয় ঠেকেছে।

একজন নেটিজেন স্পষ্ট লিখেছেন, ‘গিটার হাতে যা করলেন, সেটা এক্সপ্রেশান না- রীতিমতো বিপর্যয়!’ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, ‘চেহারায় এত অপ্রয়োজনীয় নাটকীয়তা, যেন দর্শককে জোর করে কাঁদাতে চাইছেন।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ওভারঅ্যাক্টিং এতটাই বেশি যে পর্দায় তাকানোই যাচ্ছে না।’ এমন মন্তব্যও উঠেছে, ‘লিপসিঙ্ক দেখে মনে হচ্ছে ইমোশনাল নয়, বরং কমেডি পারফরম্যান্সে অভিনয় করছেন!’

তাছাড়া ছোট ছোট ডিটেইলের প্রতি মনোযোগের অভাবও দৃষ্টিকটু লেগেছে অনেক দর্শকের কাছে। যেমন জোভানের মাইক্রোফোনে কোনও তার বা ক্যাবল নেই- এই ব্যাপারটায় অনেকেই আঙুল তোলেন। 

সাধারণ কোনও চরিত্র হলে হয়ত এই ব্যাপারগুলো তেমন নজর পেত না। কিন্তু গল্পটাই যেখানে এক সঙ্গীতশিল্পীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সেখানে সঙ্গীতের কিছু খুঁটিনাটি যা সাধারণ মানুষও বুঝেন সেগুলোর প্রতি যত্নের এত অভাব দর্শকদের বিরক্ত করে

অনেকেই বলছেন, জোভানের অভিনয় যেন চরিত্রের সঙ্গে নয়, ক্যামেরার প্রতিক্রিয়ায় তৈরি। দর্শকদের কারও ভাষায়, ‘এটা রকস্টার না, বরং রঙ্গমঞ্চের জোকার!’ আবেগ প্রকাশের চেষ্টায় তিনি যে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন, তা স্পষ্ট। তবে তা শিল্প হয়ে ওঠেনি, বরং হাস্যকর এক চিত্রনাট্যের মতো ঠেকেছে।

নাটকটির ভিজ্যুয়াল ও আবহসংগীত কিছু প্রশংসা পেলেও জোভানের পারফরম্যান্সকে ঘিরে সমালোচনার স্রোত এতটাই প্রবল যে সেটাই এখন মূল আলোচ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন দর্শক পর্যন্ত লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি ভাবছি, ঈদের রাতে আর এই চ্যানেলটাই দেখব না!’

অবশ্য কিছু ভক্তের দাবি, পুরো নাটকটি দেখে তারপর মূল্যায়ন করাই শ্রেয়। তবে শুরুতেই যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে, তা উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।

এখন প্রশ্ন একটাই, এই সবুজ গিটার আর নাটকীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জোভান আদৌ দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন তো? নাকি ‘আশিকি’ হয়ে থাকবে এক অতিনাটকীয় কমেডির নাম?