ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

জামদানি শাড়িতে ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চে মিথিলা

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি - সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। ১৯ নভেম্বর ন্যাশনাল কস্টিউম পর্বে প্রতিযোগীরা নিজেদের দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। মিথিলা এই পর্বে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাদা জামদানি শাড়ি, যা দেশের রাজকীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করে।

মিথিলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স মঞ্চের ন্যাশনাল কস্টিউমটি সজ্জিত হয়েছে একটি রাজকীয় জামদানি শাড়িতে, যা বাংলাদেশের রাজকীয় ঐতিহ্যের এক জীবন্ত উত্তরাধিকার।’ শাড়ির মোটিফে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, যা দেশের শান্তি, পবিত্রতা ও অপরাজেয় মনোভাবের প্রতীক।

জামদানি শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে বোনা এবং তৈরিতে লেগেছে প্রায় ১২০ দিন। শাড়ির ডিজাইনার হলেন আফরিনা সাদিয়া সৈয়দা, এবং এটি তৈরি হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী দক্ষ তাঁতিদের হাতে। শাড়ির প্রতিটি সুতা বাছাই করা তুলা দিয়ে বোনা হয়েছে এবং এতে সোনালি জরির কারুকাজ করা হয়েছে।

শাড়ির পাশাপাশি মিথিলার গয়না ও ব্লাউজেও শাপলার থিম ফুটে উঠেছে। এই বিশেষভাবে তৈরি জুয়েলারি সেটটির ডিজাইনার জেরিন তাসনিম খান। সেটির জন্য আড়াই মাস সময় লেগেছে এবং এতে ১২ জন কারিগর কাজ করেছেন। সব গয়নায় ২২ ক্যারেট সোনার প্রলেপ ব্যবহার করা হয়েছে। গলার হারের সবুজ পাথর শাপলা পাতার রঙ থেকে অনুপ্রাণিত।

মিথিলার ন্যাশনাল কস্টিউম লুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ২৪ হাজারের বেশি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে। মিথিলা লিখেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল কস্টিউম- ‘দ্য কুইন অব বেঙ্গল’।’

জানা গেছে, জামদানি শিল্পকলাকে ২০১৩ সালে ইউনেস্কো ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা জামদানির চিরন্তন সৌন্দর্য এবং কারুশিল্পকে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করে।

২১ নভেম্বর মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এর বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। তার আগে প্রতিযোগীরা নানান পরীক্ষা ও অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। মিথিলার রাজকীয় জামদানি শাড়ি নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে অনন্যভাবে উপস্থাপন করেছে।