ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, প্রয়োজন সচেতনতা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্বজুড়ে উদযাপিত বিশ্ব আইভিএফ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন অনেকদূর এগিয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির প্রয়োগ, দক্ষ চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরির মাধ্যমে দেশের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দিন দিন বিশ্বমানের হয়ে উঠছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লুমিনা আইভিএফ। এতে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এখন দেশে বসেই বন্ধ্যাত্বের উন্নত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রজনন, এন্ডোক্রিনোলজি ও বন্ধ্যাত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফ্লোরিডা রহমান বলেন, আমাদের সমাজে বন্ধ্যাত্বকে এখনও লজ্জার বিষয় মনে করা হয়, অথচ এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা। সচেতনতা বাড়ানো গেলে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে অনেক দম্পতিই সন্তান লাভ করতে পারেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে প্রজনন বয়সী দম্পতিদের প্রায় ১৫ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছেন। বাংলাদেশেও এই হার বাড়ছে। চিকিৎসকরা মনে করেন, দেরিতে বিয়ে, সন্তান গ্রহণে বিলম্ব, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস), পুরুষের প্রজনন সমস্যা, মানসিক চাপ ও জীবনধারাজনিত নানা কারণ এই প্রবণতার জন্য দায়ী।

অনুষ্ঠানে লুমিনা আইভিএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশেই এখন আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব ও চিকিৎসা সেবা গড়ে উঠেছে। আমাদের সফলতার হার উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি। আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা নিলে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শক ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে তাহমিনা সীমা, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মুজাহিদ হোসেন, অপারেশন ডিরেক্টর নাজমুল আজম পলাশ এবং হেড অব বিজনেস মুনিরুল সালেহীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিশ্ব আইভিএফ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সচেতনতামূলক র‍্যালি, ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প, সেমিনার এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ কার্যক্রম। ধানমন্ডি লেকে র‍্যালির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।

চিকিৎসকদের মতে, সচেতনতা ও সহজপ্রাপ্য চিকিৎসা সুবিধা থাকলে অনেক দম্পতির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। বন্ধ্যাত্ব আর লজ্জা নয় এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যার সমাধান এখন দেশের মধ্যেই সম্ভব।