জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে সংক্ষিপ্ত আদেশের ভিত্তিতে কার্যকর করা হয় বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর সেদিন রাতেই তড়িঘড়ি করে এই দণ্ড কার্যকর করা হয়। আমরা আজও জানি না, রিভিউ খারিজের কারণ কী ছিল।’
এই মন্তব্য তিনি করেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের ফাঁসির রায় সংশ্লিষ্ট আপিল শুনানির সময়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে শুনানিটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক আগে শুনানি করলেও তাঁর বাবা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা যাওয়ায় আজ শুনানি করছেন শিশির মনির।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কারো মুক্তি নিশ্চিত করতে সংক্ষিপ্ত আদেশ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে এ ধরনের আদেশের ব্যবহার উপমহাদেশে নজিরবিহীন।’
শিশির মনির বলেন, ‘সাক্ষীদের ১৬১ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সময় ও ঘটনার নির্দিষ্টতা ছিল না। অনেক সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়নি, ফলে জেরা করাও সম্ভব হয়নি। অথচ, সাক্ষীদের জেরা করা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বিচারিক অধিকার।’