শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

টিউলিপের আয়কর নথিতে অনিয়মের প্রমাণ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি- সংগৃহীত

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি- সংগৃহীত

এবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি এবং যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আয়কর নথিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টিউলিপের বিরুদ্ধে প্লট ও ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি এবং রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে আয়কর নথিতে অনিয়মের প্রমাণ পেল দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। সূত্র জানায়, সম্প্রতি তার ১৩ বছরের আয়কর নথি জব্দ করার পর তা খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করেছে দুদক।

টিউলিপ ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এরপর থেকে তিনি আর আয়কর রিটার্ন জমা দেননি। ২০০৬-০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিল করা রিটার্ন এবং সংশ্লিষ্ট নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার এসব নথির মধ্যে ২০০৬-২০১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি আয়কর রিটার্নে ‘অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স’ শিরোনামে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য রয়েছে।

২০০২ সালের ৩০ অক্টোবরের সাফকবলা দলিল নম্বর ১৪০৭১ অনুযায়ী, টিউলিপ গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা ফ্ল্যাটটির মালিক এবং ভোগদখলে ছিলেন। কিন্তু তিনি সেই ফ্ল্যাটটি তার আয়কর নথিতে মালিকানা হিসেবে উপস্থাপন না করে মিথ্যাভাবে ডেভেলপার কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

২০০২ সালের ৩০ অক্টোবরের সাফকবলা দলিল নম্বর ১৪০৭১ অনুযায়ী, টিউলিপ গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা ফ্ল্যাটটির মালিক এবং ভোগদখলে ছিলেন। কিন্তু তিনি সেই ফ্ল্যাটটি তার আয়কর নথিতে মালিকানা হিসেবে উপস্থাপন না করে মিথ্যাভাবে ডেভেলপার কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

আয়কর নথিতে টিউলিপ দাবি করেছেন, ২০১৫-১৬ করবর্ষে ঢাকার গুলশানের ফ্ল্যাটটি (বি/২০১, প্লট নং এনই(এ)১১বি) তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে হেবা (মুসলিম আইনে কাউকে সম্পত্তি দান করা) করেছেন। আয়কর রিটার্নে দাখিলকৃত হেবা দলিল (রেজি: নং ০১, তারিখ: ২১/০৬/২০১৫) একটি নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়িত দলিলও সংযুক্ত করেছেন।

তবে ২০০৪ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, কোনো স্থাবর সম্পত্তি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এ হস্তান্তর অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি হতে হয়। আবার ওই হেবা দলিলের নোটারি পাবলিক হিসেবে প্রত্যয়নকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী সিরাজুল ইসলামের নাম প্রদর্শিত হয়েছে।

অ্যাডভোকেট গাজী সিরাজুল ইসলাম দুদককে জানিয়েছেন, দলিলে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটি তার নয়। তিনি ২০১২ সালে নোটারি পাবলিক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন এবং কোনো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নোটারি কাজ করেন না। সুতরাং, ফ্ল্যাটটি অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলেই টিউলিপ তা আয়কর নথিতে গোপন রেখেছেন এবং অগ্রিম প্রদান মিথ্যা দেখিয়ে ফ্ল্যাটটি বোনের নামে হস্তান্তরের অপচেষ্টা করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।

এ ছাড়া আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দাদার কাছ থেকে উপহার হিসেবে টিউলিপের পাওয়া ১০ তোলা (১ তোলা সমান ১ ভরি হিসাবে ১০ ভরি) স্বর্ণের দাম দেখানো হয় এক লাখ টাকা। ২০১২-১৩ সময়ে সেই স্বর্ণের পরিমাণ বেড়ে হয় ৩০ তোলা, তবে দাম দেখানো হয় একই। ২০১৩-১৪ করবর্ষে মৎস্য খামার থেকে ৯ লাখ টাকা আয় নিজের আয়কর নথিতে দেখান টিউলিপ। আয়কর নথি অনুযায়ী, টিউলিপ ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ব্যবসা থেকে এক লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা নিট লাভ দেখিয়েছেন।

এরপর ধারাবাহিকভাবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুই লাখ ১৫ হাজার, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুই লাখ ২০ হাজার, ২০১০-১১ অর্থবছরে দুই লাখ ১৬ হাজার, ২০১১-১২ অর্থবছরে দুই লাখ ৪০ হাজার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই লাখ ৬৫ হাজার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিট লাভ দেখানো হয়।

সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তার নিট লাভ ছিল তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা। আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, টিউলিপ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন এবং তা থেকে নিয়মিত লাভও পেয়েছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, অনেক জায়গা থেকে আমরা দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহ করতে পারিনি। আমাদের কাছে সেগুলো এসে পৌঁছায়নি। সে কারণে কিছুটা সময় লাগছে। এগুলো পাওয়া সাপেক্ষে অনুসন্ধান দল তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে।

উল্লেখ্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে সমালোচনার মুখে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকারের সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি গত বছর দেশটির সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর জুলাইয়ে তাকে লেবার পার্টি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার করা হয়েছিল।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!