শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসান আরিফ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০১:১০ এএম

মুছে যাবে ফ্যাসিবাদের অস্তিত্ব

হাসান আরিফ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০১:১০ এএম

মুছে যাবে ফ্যাসিবাদের অস্তিত্ব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৫৬ হাজার বর্গমাইল ভৌগোলিক সীমানার বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনার পরিবার বা তার ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামের কোনো নিশানা রাখবে না। 

এমনকি ১৭ কোটি বাঙালির মন থেকেও ফ্যাসিস্টদের নাম মুছে দিতে চায়। এরই মধ্যে তাদের নামে থাকা বহু প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সব নাম পরিবর্তন করা বা মুছার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাপরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে এসব নামকরণ করা হয়। এখন একে একে মুছে দেওয়া হবে ফ্যাসিবাদের সব অস্তিত্ব।

রাষ্ট্রীয় অর্থে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প ও পুরস্কারের নাম পরিবর্তন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই পরিবর্তনের একটি মাস্টার লিস্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

এই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত থাকবে- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, প্রকল্প, পুরস্কার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত চেয়ার/কর্নার, বিভিন্ন সড়কের নাম। মূলত যেকোনোভাবেই শেখ পরিবার বা তাদের দোসর ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে কোনো কিছু থাকলে সেই নাম পরিবর্তন করে তা মাস্টার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। চিঠির অনুলিপি রূপালী বাংলাদেশের হাতে এসেছে।

জানা গেছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে, ছক অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে জরুরি ভিত্তিতে হার্ডকপি এবং সফট কপি (ইউনিকোষ নিকস ফন্টে) [email protected] ই-মেইল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও জানা গেছে, দেশের কোথাও কোনো স্কুলের নামকরণও যদি ফ্যাসিস্টদের কারো নামে হয়ে থাকে সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের বিভিন্ন স্থাপনা, স্থাপিত কর্নারের তথ্য সফটকপি [email protected] এই ই-মেইলে এবং হার্ডকপি জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত চিঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে বিক্ষুব্ধ জনতা স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাঙতে থাকে বিভিন্ন ম্যুরাল আর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সড়কের নাম থেকে শেখ পরিবারের নাম ছুড়ে ফেলে দিয়ে অন্য নামকরণ করেছে। এরপর সরকারিভাবে সময় সময় এই নাম পরিবর্তন শুরু হয়। যা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গেছে, নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু আইনি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হচ্ছে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশ দ্বারা আইনের পরিবর্তন করলেই তা পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা করে অনুমোদন না দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সার্বজনীন আদেশ জারি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

চলতি মাসের ৩ তারিখ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) নামকরণের অনুমোদন হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এর মালিকানা হস্তান্তর করা হয় নতুন কোম্পানি বিএসসিএলের কাছে। এই কোম্পানি গঠন করা হয় স্যাটেলাইটটির পরিচালনার জন্য। বিএসসিএল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মাধ্যমে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের ক্লাবে যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম।

চলতি মাসের ৯ মার্চ ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা সামরিক বাহিনীর ৮টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম বাতিল করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩টি, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৩টি, সামরিকবাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের একটি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার (প্রধান উপদেষ্টা) অনুমোদনক্রমে এগুলো বাতিল ও নতুন নামকরণ করা হয়। যেসব স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম নিউ মোরিংয়ের বানৌজা বঙ্গবন্ধুর নাম বদলে বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ, ঢাকার খিলক্ষেত নামাপাড়ার বানৌজা শেখ মুজিবের বদলে বানৌজা ঢাকা, কক্সবাজারের পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনার পরিবর্তে বানৌজা পেকুয়া, ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর বদলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরউত্তম একে খন্দকার, ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিকাল সেন্টার বিমানবাহিনীর বদলে বাংলাদেশ অ্যারোনটিকাল সেন্টার, যশোরের বিএএফ অ্যাকাডেমির বিএএফএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের বদলে বিএএফএ কমপ্লেক্স, সামরিকবাহিনী কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সের বদলে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্স এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণভবন কমপ্লেক্সে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের বদলে প্রতিরক্ষা জাদুঘর।

অন্যদিকে সেনাবাহিনীর আওতাধীন আরও পাঁচটির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে বিএমএ একাডেমিক কমপ্লেক্স, হালিশহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের নাম বদল করে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, কক্সবাজারে রামু সেনানিবাসে অবস্থিত মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারির নাম পরিবর্তন করে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টার (ইবিআরসি) হলে অবস্থিত শেখ কামাল কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে ইবিআরসি একাডেমিক কমপ্লেক্স এবং হালিশহরে এসিএন্ডএসে অবস্থিত মুজিব ব্যাটারি সড়কের নাম বদলে গোলন্দাজ সড়ক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, নতুন নামকরণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা এখন প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো হলো- ‘বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, গোপালগঞ্জ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, গোপালগঞ্জ’ করা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর’ করা হয়েছে এবং ‘শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর’ করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত চেয়ার-কর্নার থেকে পরিবর্তনসংক্রান্ত মাস্টার লিস্ট প্রণয়নের উদ্দেশে ই-মেইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘খ’ ছকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা প্রথম দফায় ২৭টি ও দ্বিতীয় দফায় আরও ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব নাম পরিবর্তনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিতে হয়েছে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবারের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহের শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুরের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া বরিশালের শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জের বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের নাম বদলে সিরাজগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, নওগাঁয় শহিদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে নওগাঁ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, জামালপুর শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে জামালপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং মেহেরপুরের ছহিউদ্দিন টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে মেহেরপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা ১০টি প্রতিষ্ঠান, স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। 

পাশাপাশি কয়েকটি স্থাপনা-প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট স্থানের নামে নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ইনার রিং সড়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ঝাউচর প্রধান সড়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল-বুড়িগঙ্গা সড়ক, শহিদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক কলাবাগানের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম কলাবাগান শিশু পার্ক, শহিদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক যাত্রাবাড়ীর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম যাত্রাবাড়ী শিশু পার্ক, মেয়র শেখ তাপস সেতুর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী শিশু পার্কের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম শহিদ জিয়া শিশু পার্ক, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্কের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম সরাফতগঞ্জ পার্ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র করা হয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!