বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ১২:৫৬ এএম

অভ্যুত্থানবিরোধী কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বহাল তবিয়তে

শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ১২:৫৬ এএম

অভ্যুত্থানবিরোধী কনটেন্ট  ক্রিয়েটররা বহাল তবিয়তে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গত জুলাইতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেও এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছে দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর তথা ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি অংশ। অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভনে অভ্যুত্থানের বিপক্ষে এবং তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান ছিল তাদের। 

আওয়ামী লীগের ‘থিংক ট্যাংক’ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের (ক্যাপ) নীলনকশায় ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে এ কাজের নেতৃত্বে ছিলেন তৌহিদ আফ্রিদি ও সোলায়মান সুখন। বর্তমানে তারাই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছেন। 

বিভিন্ন পক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে নতুন ব্যবসা খুলেছেন তৌহিদ আফ্রিদি, যার সঙ্গে বিতর্কিত সাবেক ডিবিপ্রধান ও পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আর গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও শুরু করেছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশন তথা প্রচারণা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে প্রমোশনাল কাজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত ব্র্যান্ডের।

জুলাই অভ্যুত্থানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং সরাসরি রাজপথে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তথা ইনফ্লুয়েন্সাররা। 

নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় জেনেও ছাত্র-জনতার কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন আয়মান সাদিক, সালমান মুক্তাদির, রাকিন আবসার, ফাবিয়া হাসান মনিষা, তাসরিফ খানসহ অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইনফ্লুয়েন্সার। তবে ক্রিয়েটরদের একটি অংশ তৌহিদ আফ্রিদি ও সোলায়মান সুখনের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিপক্ষে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে এসব তথ্যের সত্যতা উঠে আসে। 

এ জন্য দেশের প্রথম সারির অন্তত ছয় জন ক্রিয়েটরের সঙ্গে কথা বলে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ। গত জুলাইতে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে ভিডিও পোস্টের জন্য মোটা অঙ্কের প্রলোভন ও ক্ষতির হুমকি পাওয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন সংগীতশিল্পী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাসরিফ খান। 

৫ আগস্টের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাসরিফ জানিয়েছিলেন যে, সরকারের একটি ‘পক্ষ’ থেকে নির্দিষ্ট বার্তা সংবলিত ভিডিও পোস্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে রাজি না হলে ক্ষতি হতে পারে বলেও বোঝানো হয়েছিল তাসরিফকে। তবে তৌহিদ আফ্রিদি বা সোলায়মান সুখনের নাম নেননি তিনি। 

এ বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশকে তাসরিফ বলেন, “যারা প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদেরও পরিবার-পরিজন আছে। ৫ আগস্টের পর অনেক ‘মব জাস্টিস’ হচ্ছিল। তাই তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে কারও নাম নিইনি।” এখন তাদের পরিচয় জানাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তাসরিফ বলেন, ‘আগে যেহেতু বলিনি, এখনো বলব না। তবে বনানীর একটি কফিশপে ঐ ব্যক্তির প্রতিনিধির কাছে আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে টাকা ফেরত দিয়েছি।’

তাসরিফ নাম না বললেও তার সেই ফেসবুক পোস্টেই একাধিক কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন উল্লেখ করে এ ঘটনার জন্য তৌহিদ আফ্রিদি ও সোলায়মান সুখনকে দায়ী করে কমেন্ট করেন।

এ বিষয়ে ‘ফুডআপ্পি’ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ফাবিয়া হাসান মনিষা তার অভিজ্ঞতার বিস্তারিত জানান রূপালী বাংলাদেশকে। 

মনিষা বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের পর একদিন ইসিবি চত্বরের (মিরপুর) একটি ভবনে ডাকা হয়। গিয়ে সেখানে আরও অনেক ইনফ্লুয়েন্সারকে দেখি। হলরুমে ঢোকার আগে সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। সেখানে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের অনেক রাজনৈতিক লোক ছিল। 

পুরো বিষয়ের নেতৃত্বে ছিল তৌহিদ আফ্রিদি। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে সরকারের পক্ষে আর আন্দোলনের বিপক্ষে ভিডিও তৈরির প্রস্তাব দেয়। ভিডিও বানালে পরবর্তীতে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে, প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সান্নিধ্যে যাওয়া যাবে; এসব প্রলোভন দেয়। 

আর ভিডিও না করলে পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে কী হবে সে বিষয়ে তারা জানে না; এসব বলে হুমকিও দেয়। এসব দেখে নানান অজুহাতে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি। পরে ইন্টারনেট চালু হলে আবারও যোগাযোগ করে, কিন্তু ভিডিও দিইনি বরং ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিই।’ 

ফুডআপ্পির কথার সত্যতা পাওয়া যায় আরও অন্তত তিনজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বক্তব্যে। তবে তারা পরিচয় প্রকাশে রাজি হননি।

রূপালী বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ২১ জুন ইসিবি চত্বরে ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে ওই আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য যাতায়াত বাবদ ২০ হাজার টাকাও বরাদ্দ ছিল।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পর (১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই দেশজুড়ে প্রথম দফায় ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল) ইনফ্লুয়েন্সারদের সরকারের পক্ষে ভিডিও দিতে উদ্বুদ্ধ করতে আরও একটি মিট-আপ আয়োজন করা হয়। 

২ আগস্ট গুলশান ১-এর ৩৩ নম্বর সড়কের একটি তিনতলা বাড়িতে (নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ির নম্বর উহ্য রাখা হলো) আসার জন্য তৌহিদ আফ্রিদির কাছ থেকে সরাসরি আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তৌহিদ আফ্রিদির পাঠানো আমন্ত্রণের সেই খুদেবার্তার স্ক্রিনশট রয়েছে রূপালী বাংলাদেশের কাছে। 

ক্রিয়েটরদের তৌহিদ আফ্রিদি ও সোলায়মান সুখনের নেতৃত্বে ডাকা হতো বলে জানান আরেক ক্রিয়েটর। নামের বানানে ‘র’ থাকা সেই ক্রিয়েটর বলেন, “যাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, তাদের সরাসরি ‘এপ্রোভ’ করেছে আফ্রিদি ও সুখন। বাকিদের ডাকা হয়েছিল এজেন্সির (সিআরআই, ক্যাপ) মাধ্যমে। 

আমাকেও প্রস্তাব করা হলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করি।” ‘থট অব শামস’ পেইজের জন্য জনপ্রিয় ক্রিয়েটর শামস আফরোজ চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘একটি এজেন্সি থেকে ফোন করা হয়েছিল, তবে না করে দিই সঙ্গে সঙ্গে। এরপর আর কখনো যোগাযোগ করেনি। ৫ আগস্টের পর অন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানতে পারি যে, ঐ এজেন্সির নেতৃত্বে ছিলেন আফ্রিদি ও সুখন।’ 

‘ডানা ভাই জোস’ পেইজের জন্য জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার কামরুন নাহার ডানা নিজ অভিজ্ঞতা জানিয়ে রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের সময় সোলায়মান সুখন ৮০ হাজার টাকা সমেত আমার বাসার নিচে এসে দেখা করেন। 

মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের সমালোচনা করে ভিডিও প্রকাশ করতে বলেন। ভাঙচুরের বিষয়ে ভিডিও করলে শেখ হাসিনা যে অন্যায় করছেন সেটাও ভিডিওতে দেব বলে শর্ত দিই। সুখন অবশ্য এতে রাজি হননি। তারপর তিনি চলে যান। অবশ্য উনি কোনো হুমকি দেননি, বরং ভদ্রলোকের আচরণে কথা বলেছেন।’

কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বলেন, ভিডিও প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্ক্রিপট ঠিক করে দিয়েছিল আফ্রিদি-সুখন গং। বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের সমালোচনা, জাতীয় সম্পদ নষ্টের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপি-শিবির জড়িত- এ ধরনের বার্তা দেওয়া ছিল সেই স্ক্রিপ্টে। 

অনেক ক্রিয়েটর এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও অনেকেই আবার অংশ নেন আন্দোলনবিরোধী প্রচারণায়। তাহমিনা চৌধুরী প্রীতি নামের কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিজের ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল ও টিকটক আইডিতে সেরকম একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। 

এজন্য ৫ আগস্টের পর তার বাড়িতে হামলাও চালায় উত্তেজিত জনতা। ‘দ্য হেজি ম্যান’ নামক পেইজের ক্রিয়েটর নিলান্ত আহমেদ শিফাতও নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্টের সেই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। এই তালিকায় আরও ছিলেন আরেক নারী ক্রিয়েটর নাফাইসা নিশা। 

এজেন্সির থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন শান্তি রহমান নামের ইনফ্লুয়েন্সার। তবে ভিডিও না করে সেই অর্থ আন্দোলনে খরচ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। যদিও একাধিক ক্রিয়েটর জানান, ঐ নির্দিষ্ট স্ক্রিপটের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শান্তি রহমান নিজেও। এই তালিকায় আছেন চলচিত্র অভিনেতা জায়েদ খানও। তবে দ্রুতই হাসিনার পতন হলে সেগুলো মুছে ফেলেন তারা। 

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২ আগস্টের মিটআপ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন আরও অন্তত এক ডজন ক্রিয়েটর। তবে ভিডিও প্রকাশের আগেই অভ্যুত্থান সফল হওয়ায় সেগুলো আর আপলোড করতে হয়নি ক্রিয়েটরদের। এসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি সোলায়মান সুখন। 

হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগের কারণ উল্লেখ করে দেওয়া বার্তা পড়েছেন তিনি। এরপর ফোন করা হলেও তিনি কেটে দেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি। 

আন্দোলনের একটি বড় সময় দেশেই ছিলেন না এবং দেশে আসার পর ডিবি তাকে আটক রেখেছিল বলে রূপালী বাংলাদেশকে জানান তিনি। যদিও ২১ জুন ইসিবি চত্বরে এবং ২ আগস্টের গুলশান মিটআপে আফ্রিদি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন একাধিক ক্রিয়েটর। 

রূপালী বাংলাদেশকে তৌহিদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমার ওপর অনেক চাপ ছিল। তাই আন্দোলনের পক্ষে অনেক পোস্ট করলেও সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হয়েছিল। শহিদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে ছিলাম তিনি শহিদ হওয়ার প্রথম দিন থেকেই। আমাকে ফাঁসিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারলে থাকুক। সবাইকে ক্ষমা করেছি।’

জুলাই আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষের পাশাপাশি ক্রিয়েটরদের আরেকটি অংশ ছিল ‘নিষ্ক্রিয়’ দলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ সমাজের কাছে প্রাপ্ত জনপ্রিয়তার বদৌলতে যশ, খ্যাতি, অর্থ, বিত্ত অর্জন করলেও দেশের তরুণদের সব থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তারা ছিলেন নীরব। 

এদের একটি বড় অংশ ২০২৪ সালের আওয়ামী লীগের সাজানো নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এর পুরস্কারস্বরূপ ডাক পেয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে। ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ খ্যাত ইফতেখার রাফসান সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কেরানীগঞ্জের বাসায় গিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেছিলেন। 

সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শেখ হাসিনার হাতের রান্না করা খাবার রিভিউর আগ্রহ জানিয়েছিলেন। সেই রাফসান আন্দোলনের সময় ছিলেন নীরব। যদিও একদিন রাজপথে অংশ নিতে চাইলে অতীত ইতিহাসের জন্য তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। 

খেলার কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নিয়ন অ্যান্ড অন’ পেইজের ক্রিয়েটর শিহাব নিয়নের সঙ্গে সিআরআই, ক্যাপ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সখ্যের অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রিয়েটর। নির্বাচনি প্রচারণায় তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে নিয়নও ক্রিয়েটরদের সমন্বয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। 

নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে বিজয় উৎসবে নিয়নের উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে রূপালী বাংলাদেশের কাছে। নির্বাচনের আগে গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক মদের পার্টিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি। 

ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার অভিযোগ রয়েছে মটোভøগার হিসেবে পরিচিত আর এস ফাহিমের বিরুদ্ধেও। মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ওরফে টিজে রাজিবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফাহিম। রাজীব ও নসরুল হামিদের মোটর শোডাউনে বাইকার সাপ্লাই দিতেন তিনি। 

এসব বিষয়ে রাফসান, নিয়ন ও ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য ব্যস্ততার কারণে কথা বলবেন না বলে প্রতিনিধির মাধ্যমে জানিয়েছেন নিয়ন। অভ্যুত্থানের সাত মাস পেরোলেও কিছুই হয়নি এসব বিতর্কিত ক্রিয়েটরের। 

উলটো কেউ শুরু করছেন নিজের ব্যবসা, কেউ আবার করছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশন। নতুন অনলাইন পোর্টাল ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আনছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন তৌহিদ আফ্রিদি। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য প্রমোশনাল কনটেন্ট করছেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। 

অবশ্য ব্র্যান্ডগুলোকে বিতর্কিত ক্রিয়েটরদের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনসাস কনজিউমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ব্র্যান্ডগুলোর উচিত দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা। বিতর্কিত কাউকে দিয়ে প্রমোশন করালে এটা তাদের বিরুদ্ধে বুমেরাং হতে পারে, তাদের ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!