বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০১:১২ এএম

বাড়ছে অবৈধ অস্ত্রের মজুত

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০১:১২ এএম

বাড়ছে অবৈধ অস্ত্রের মজুত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশে অবৈধ অস্ত্রের মজুত বাড়ছে। সীমান্তের ৩৩ রুট দিয়ে ১২৮ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্ত্র ঢুকছে। ৫ আগস্টের পর পট পরিবর্তনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করছে। 

নেপথ্যে থাকা কতিপয় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার অর্থে দেশকে অস্থিতিশীল করতে অপতৎপরতা চালানো  হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা দেশজুড়ে নাশকতা সৃষ্টি ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। 

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দুটি দেশ থেকে বিভিন্ন মডেলের অত্যাধুনিক অস্ত্র-ম্যাগাজিন চোরাচালানের মাধ্যমে জেলা হয়ে ঢাকায় ঢুকছে। 

১৮ জেলার সীমান্তপথ দিয়ে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র নানা কৌশলে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করায় যেকোনো সময় বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে, তৈরি হতে পারে অরাজক পরিস্থিতি। এ-সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশেষ প্রতিবেদন ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র দাবি করেছে।

একই সূত্রমতে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পেশাদার অপরাধীদের ব্যবহার করে দেশে ধারাবাহিক অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। 

খুন, অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি ও দাঙ্গা লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চায় তারা। অস্ত্রের মজুত বাড়াতে বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অপরাধীদের কাছে। 

সূত্রমতে, সাধারণ অস্ত্রের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্রও দেশে ঢুকছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে তাদের কাছে আসছে এসব অবৈধ অস্ত্র। নাশকতা, সহিংসতা, চাঁদাবাজি, মাদকের কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে ও গোপনে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এলাকাভিত্তিক সন্দেহভাজন অস্ত্রবাজদের তালিকা তৈরি করছে। সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র প্রবেশ বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে টহল ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। 

বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানাচ্ছে, দেশজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চলমান। 

সীমান্ত দিয়ে যাতে অস্ত্র না ঢুকতে পারে, সে জন্য সংশিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান রোধেও বিশেষ নজরদারিসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল এস এম শফিকুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। 

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিজস্ব গোয়েন্দা শাখার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন রুটসমূহে অতিরিক্ত টহল, চেকপোস্ট স্থাপন এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অনুসরণ করে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত অনেক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া, সীমান্তবর্তী জনগণের সচেতনতা বাড়ানো এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে করে সীমান্ত দিয়ে কোনো অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করতে না পারে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন উন্নতি হচ্ছে, ঠিক তখনই পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা পেশাদার অপরাধীদের দিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার ও ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে দেশে অস্ত্র ঢুকছে এমন তথ্য তাদের কাছে আগে থেকেই রয়েছে। অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ, বিপণন, বিতরণকারী হিসেবে কারা কাজ করছে এবং কাদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে- এসব বিষয়ে বেশকিছু গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে কাজ চালাচ্ছেন তারা।

 মূলত অবৈধ ভারী অস্ত্রের চালান দেশে ঢোকার পেছনে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাজ করছে। তারাই সীমান্ত পার করে দেশে অস্ত্রের চালান প্রবেশ করাচ্ছে। এর সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারো কারো যোগসূত্রও থাকতে পারে। এই নেটওয়ার্ক ভাঙা অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়েই প্রধানত ভারত থেকে অবৈধ অস্ত্র আসে। পদ্মা নদীর চরে একাধিক ইউনিয়ন আছে। তার অপরদিকে ভারত। ভারতের একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ী আছে, যারা বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠায়। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে অবৈধ ভারী অস্ত্র। 

এসব আগ্নেয়াস্ত্র উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চোরাকারবারিরা মিয়ানমার থেকে ভারী অস্ত্রগুলো এনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে।

 এর মধ্যে জার্মানির তৈরি জি-থ্রি রাইফেল ও রকেট শেলের মতো ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। জব্দ করা বেশির ভাগ অস্ত্রই বিদেশি। 

অস্ত্রের বড় চালানগুলো দেশে ঢোকে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, দর্শনা, শাহজাদপুর, হিজলা, আন্দুলিয়া, মান্দারতলা, বেনাপোল সীমান্তের গোগা, কায়বা, শিকারপুর, দৌলতপুর, দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে। সীমান্ত এলাকার ঘাটমালিকেরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ঘাট চালান।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস রূপালী বাংলাদেশকে জানান, প্রথমত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রাপ্ত অবৈধ অস্ত্রসংক্রান্ত যেকোনো আদেশ পালনে র‌্যাব সদা সচেষ্ট। অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে র‌্যাব নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

গত ছয় মাসে র‌্যাব কর্তৃক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সংখ্যা অনেক এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উদ্ধারকেও সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়ন বদ্ধপরিকর।

এলাকাভিত্তিক সন্দেহভাজন অবৈধ অস্ত্রধারীদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক এ ধরনের সন্দেহভাজনদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছেন বা আগেও করেছেন, তাদের নাম তালিকায় রাখা হচ্ছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

জানা গেছে, অস্ত্র কারবারিরা সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র এনে এপারের অস্ত্র কারবারিদের হাতে তুলে দেয়। অস্ত্র কারবারিদের হাত ঘুরে সেসব অস্ত্র পৌঁছে যায় বিভিন্ন এলাকায়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে অস্ত্রের চালান আসছে। 

নাশকতার কাজেও এসব অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সীমান্ত পেরিয়ে আনা অস্ত্র উদ্ধারে প্রতিটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা বিওপিতে বিশেষ টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্ত বিজিবি সীমান্তে আভিযানিক কার্যক্রম, টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়িয়েছে। 

উত্তরবঙ্গের রহনপুর সোনা মসজিদ, চুয়াডাঙ্গা, মহেশপুর, কুষ্টিয়া সীমান্ত স্পর্শকাতর বিবেচনায় নিয়ে নজরদারি বেশি বাড়ানো হয়েছে। চোরাচালানিরা যদি কোনোভাবে সীমান্ত দিয়ে দেশের ভেতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে যায়, সে ক্ষেত্রে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিবি, যাতে তারা অস্ত্রের চালান আটকাতে পারে।

আরও জানা যায়, সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে অস্ত্র ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশের চোরাচালানিদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রের বাহক থাকে। তারা ওপার থেকে অস্ত্রগুলো চোরাই পথে এনে এ দেশে অস্ত্র কারবারিদের হাতে তুলে দেয়। 

এরপর কারবারিরা এসব অস্ত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অসাধু রাজনৈতিক নেতা, ডাকাত, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীর কাছে বিক্রি করে। দু-একটি অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জব্দ হলেও অধিকাংশই চলে যায় ব্যবসায়ীদের হাতে।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, স্থল ও জলপথের ৩৩ রুট দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র আনা হচ্ছে। অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান ঢুকছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে। চট্টগ্রামের ৯টি রুট দিয়ে অস্ত্রের চালান আসছে। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে অস্ত্র নিয়ে আসার জন্য সন্ত্রাসীরা একাধিক রুট ব্যবহার করছে। 

যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা উপজেলার ২৪০ কিলোমিটারজুড়ে ভারতীয় সীমান্ত। শার্শার বেনাপোল স্থলবন্দর, চৌগাছা উপজেলার শাহজাদপুর, হিজলা, আন্দুলিয়া, মান্দারতলা, বেনাপোল সীমান্তের গোগা, কায়বা, শিকারপুর ও দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য দেশে ঢুকছে। 

সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ও গাজীপুর ঘাট দিয়ে সাধারণত চোরাচালান হয়ে অস্ত্র আসছে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ভোলা নদী হয়ে এবং মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলা দিয়ে বলেশ্বরী নদীপথে অবৈধ অস্ত্র হাতবদল হয়। 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি, কুড়িগ্রামের দুর্গাপুর ও নাগেশ্বরী, খাগড়াছরির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গার বরকল ও বাঘাইছড়ি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও নেত্রকোনার দুর্গাপুর দিয়ে অবৈধ অস্ত্র আসছে। সিলেটের তামাবিল ও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও আসছে অবৈধ অস্ত্র।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর দরিদ্র লোকজনকে অর্থের লোভ দেখিয়ে অবৈধ অস্ত্র পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয়। নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট রুট দিয়ে তারা সীমান্ত পার করে নির্দিষ্ট স্থানে অস্ত্র পৌঁছে দেয়। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় একাধিক অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। 

৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাজুক পরিস্থিতির সুযোগে শতাধিক সিন্ডিকেট বা চক্র ধুমছে অস্ত্র কেনাবেচা করছে। দেশে মজুতকৃত অবৈধ অস্ত্রের মালিকেরা পেশাদার অপরাধী বা একশ্রেণির সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছে। 

খুন, অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি টেন্ডারবাজিসহ সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আধিপত্য বিস্তারের জন্য এসব অস্ত্র ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেও অনেক সময় দলীয় ক্যাডাররা অস্ত্রের মহড়া দেয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর রূপালী বাংলাদেশকে জানান, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এবং বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যেন না হয়, সে জন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের আভিযানিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!