সান সিরোতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। আজকের লড়াইয়ে যারাই জিতবে, তারা প্যারিসের অনুষ্ঠিত চলতি আসরের ফাইনালে পৌঁছে যাবে।
আর মাত্র ১০ ঘন্টা পরেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলানের মধ্যেকার খেলাটি শুরু হবে। গত সপ্তাহে বার্সার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রথম লেগের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ায়, আজ রাতের সান সিরোর লড়াইয়ে নির্ধারণ হবে প্রতিযোগিতার প্রথম ফাইনালিস্ট।
এদিবে, বার্সা শিবিরে ইনজুরির কারণে আলেজান্দ্রো বাল্ডে ও জুলস কাউন্ডের অনুপস্থিতি হ্যান্সি ফ্লিকের জন্য বড় ধাক্কা হলেও, রবার্ট লেভানডভস্কি প্রত্যাবর্তন দলের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।
ফাইনালে যে কৌশল ব্যবহার করতে পারে বার্সেলোনা
সেট-পিসের দুর্বলতা সামলানো: প্রথম লেগে ইন্টারের তিনটি গোলের মধ্যে দুটিই ছিল সেট-পিস থেকে। সিমোন ইনজাঘির দলের শারীরিক সক্ষমতা এবং সেট-পিসে তাদের দক্ষতা বার্সেলোনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
রোনাল্ড আরাউহো খেলানো বা ছোট খেলোয়াড়দের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের মনোযোগ সরানোর মতো কৌশল ফ্লিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে মূল চাবিকাঠি হলো সেট-পিসের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষণভাগকে আরও শক্তিশালী করা।
আক্রমণভাগের সুযোগগুলো কাজে লাগানো: ইন্টারের শক্তিশালী রক্ষণভাগ থাকা সত্ত্বেও, বার্সেলোনা প্রথম লেগে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার কারণে জয় হাতছাড়া হয়।
রাফিনহা, লামিন ইয়ামাল, ফেরান টরেস এবং দানি ওলমোর মতো আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের নিজেদের বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং গোল নিশ্চিত করতে হবে।
নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখা: এই মৌসুমে বার্সেলোনা তাদের আত্মবিশ্বাস ও নিজেদের ক্ষমতার উপর আস্থার পরিচয় দিয়েছে। প্রথম লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও তারা লড়াই করে ড্র ছিনিয়ে এনেছিল।
ফাইনালে যাওয়ার জন্য একই মানসিকতা বজায় রাখা জরুরি। বার্সেলোনা যদি বিশ্বাস করে যে তারা ভালো দল এবং নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে তাদের থামানো যে কোনো দলের জন্য কঠিন।