ঢাকা শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ইউরোপা লিগের ফাইনালে দুই ‘ব্যর্থ’ ইংলিশ ক্লাব

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
ছবি: গোলডটকম

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) ইতিহাসে চলতি মৌসুম সবচেয়ে বাজে কাটছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পারের। পরিস্থিতি এমন যে শিরোপা তো দূরে থাক আগামী মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ লিগেও জায়গা হারিয়েছে দু’দল।

বর্তমানে ইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের ১৫তম স্থানে আছে ইউনাইটেড। অন্যদিকে ১৬তম অবস্থানে আছে টটেনহ্যাম।

সমর্থকদের। কিন্তু ভুলে যাওয়ার মতো এই মৌসুমটাই শেষ দিকে এসে দুই দলের জন্য অন্য রকম মোড় নিয়েছে। ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম যে এখন ইউরোপা লিগের ফাইনালে।

আগামী ২১ মে বিলবাওয়ায়ের মাঠ সান মামেসে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই ইংলিশ ক্লাব। ফলে এই দুই দলের যেকোনো একটি দল ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েই আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে পারবে। তবে হারা দল সেই সুযোগ পাবে না।

ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রেখেছিল ‘রেড ডেভিলরা’। আর গতকাল দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে বিলবাওয়কে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউনাইটেড। দুই লেগের এগ্রিগেটে ৭-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় দলটি।

এদিন অবশ্য শুরুতে গোল হজম করেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করে রুবেন আমেরিমের শিষ্যরা।   

ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন ম্যাসন মাউন্ট। একটি করে গোল করেন কাসেমিরো ও রাসমুস হয়লুন্দ।

এদিকে ইউনাইটেডের মতো আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারও সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালের পথে ছিল।

গতকাল রাতে ফিরতি লেগে প্রতিপক্ষ বোডো/গ্লিমটকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি তারা। নরওয়েজিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে তাদের মাঠে টটেনহাম জিতেছে ২–০ গোলে (দুই লেগ মিলিয়ে ৫–১ এগ্রিগেট)। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহামের হয়ে গোল দুটি করেন দমিনিক সোলাঙ্কে ও পেদ্রো পোরো।

সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ইউরোপা লিগ জিতেছিল টটেনহ্যাম। তখন উয়েফা কাপ নামে পরিচিত ছিল। এরপর আর কোনো ইউরোপিয়ান ট্রফি জেতা হয়নি দলটির। এমনকি দলটির সব মিলিয়ে সর্বশেষ ট্রফি জেতারও পর ১৭ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৭–০৮ মৌসুমে লিগ কাপের শিরোপা জিতেছিল তারা। এখন ইউনাইটেডকে হারিয়ে অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগলুর দল নতুন ইতিহাস লিখতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।