টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে না খেললেও মোটা অঙ্কের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের পর্দা নামছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে।
তবে মাঠের লড়াইয়ের বাইরে এবার আলোচনার কেন্দ্রে বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি। আগের আসরগুলোর তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি, যেখানে অংশীদার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।
চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো পারফর্ম করে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ফাইনালের টিকিট না পেলেও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তদের দল পাচ্ছে ৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এবারের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই লড়াইয়ের বিজয়ী দল পাবে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। রানার্সআপ দলও কম যাবে না, তাদের জন্য বরাদ্দ ২.১৬ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ সাড়ে ২৫ কোটি টাকারও বেশি।
মজার ব্যাপার হলো, আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দল যা প্রাইজমানি পেয়েছিল, এবার রানার্সআপ দল প্রায় সেই পরিমাণ অর্থই পাচ্ছে।
অন্যান্য দলগুলোর প্রাইজমানিও বেশ আকর্ষণীয়। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারত পাবে ১.৪ মিলিয়ন ডলার (সাড়ে ১৭ কোটি টাকা) এবং চতুর্থ স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যে জুটবে ১.২ মিলিয়ন ডলার (সাড়ে ১৪ কোটি টাকা)।
ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যথাক্রমে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থান অর্জন করে ৯.৬ লাখ, ৮.৪ লাখ ও ৬ লাখ ডলার করে পাবে। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা পাকিস্তানও ৪.৮ লাখ ডলার (প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকা) ঘরে তুলবে।
বাংলাদেশের জন্য এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রটি ছিল বেশ ইতিবাচক। আগের দুই আসরে যেখানে টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক, সেখানে এবার তারা ১২টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সিরিজ জয় ছিল উল্লেখযোগ্য অর্জন।
আপনার মতামত লিখুন :