ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, ১২ আগস্ট ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। অসংখ্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, রেকর্ড গড়া ও রোমাঞ্চকর ম্যাচ এই দিনটিকে করেছে বিশেষ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনে ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো।
চ্যাপেল ভাইদের রেকর্ড (১৯৭২)
১৯৭২ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল এবং তার ছোট ভাই গ্রেগ চ্যাপেল একই টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েন। অ্যাশেজের ভাগ্য ততদিনে নির্ধারিত হলেও, এই তরুণ অস্ট্রেলিয়ান দলটি পঞ্চম টেস্টে জয় পেয়ে সিরিজে সমতা আনে।
এই জয় ছিল ১৯৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বিশ্বে দাপটের সূচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ট্র্যাজিক সমাপ্তি (১৯৯১)
১৯৯১ সালের এই দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের এক সোনালি অধ্যায় শেষ হয়। ওভালে ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজ ভাগাভাগি হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভিভ রিচার্ডস, ম্যালকম মার্শাল এবং উইকেটকিপার জেফ ডুজন-এর মতো কিংবদন্তিদের টেস্ট ক্যারিয়ার।
মার্শাল ২০.৯৪ গড়ে ৩৭৬ উইকেট নিয়েছেন, আর রিচার্ডস তার ব্যাটিং গড় ৫০-এর ওপরে ধরে রেখেছিলেন। তাদের এই বিদায় ছিল এক যুগের সমাপ্তি।
স্টুয়ার্ট ব্রডের দাপট এবং ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় (২০১৩)
২০১৩ সালে হেডিংলেতে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রড তার বিধ্বংসী বোলিং দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দেন। মাত্র ২০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
যা ছিল ১৯৯৭ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অ্যাশেজ জয়।
ক্রিস ওকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্য (২০১৮)
২০১৮ সালের লর্ডস টেস্টে বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় দিন নষ্ট হলেও, ভারত ইনিংস ও ১৫৯ রানে হেরে যায়। ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ৯ উইকেট নিয়ে দাপট দেখালেও, ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস।
ব্যাট হাতে ১৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এবং ৪ উইকেট নিয়ে তিনি নিজের নাম ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল করেন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা
১৯৯৬ : পাকিস্তানের বিপক্ষে হেডিংলে টেস্টে ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক মাইক আথারটন ছয় বছর পর প্রথমবার বোলিং করে ওয়াসিম আকরামকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। যা একটি বিরল ও মজার ঘটনা।
১৯৮৬ : নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের মাটিতে এক ঐতিহাসিক জয় পায়। রিচার্ড হ্যাডলি-র অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এবং স্পিনারদের দৃঢ়তায় তারা এই জয় নিশ্চিত করে।
১৯৪০ : জকের এ দিনে জন্ম হয় দক্ষিণ আফ্রিকার সফল অলরাউন্ডার এডি ব্যারলো-র। তিনি তার ক্যারিয়ারে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই দারুণ পারফর্ম করেছেন।
২০০২ : মরক্কোতে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ছিল হানসি ক্রোনিয়ে-র মৃত্যুর পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
আজকের দিনটি ক্রিকেট ইতিহাসে একাধিক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী। ২২ গজে ব্যাট ও বল হাতে সাফল্য, রেকর্ড এবং অবিশ্বাস্য মুহূর্তগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন