সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

‘বিএনপি ও জামায়াত ভাগ-বাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি- সংগৃহীত

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি- সংগৃহীত

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেছেন, ‘৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে।’

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

সংলাপে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা এসে বলল, সবকিছু ফেয়ার হতে হবে। তারপর দেখা গেল প্রশাসনে কে কোন পদে যাবে তা নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। ১০ জন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলো- তার মধ্যে ৩ জন জামায়াতপন্থি, বাকিরা বিএনপির লোক। ডিসেম্বর থেকেই তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের একটা বড় সংকট হলো- গদি কখন চলে যাবে সেই আশঙ্কা। কেউ নিশ্চিত না, কে কতদিন থাকবে। এমনকি আমিও জানি না আমি আজ নামতে যাচ্ছি কি না।’

তথ্য উপদেষ্টা জানান, ‘গত এক মাস ধরে ছাত্র উপদেষ্টাদের ‘নেমে যাওয়ার’ গুঞ্জন রয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাজ একরকম অচল হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যখন লন্ডনে জুনের ঘটনা ঘটল, তখন থেকেই দেশের রাজনৈতিক চিত্র বদলে গেছে। এখন অনেকে শুধু পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে। আমলারা কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন এবং গণমাধ্যম কমিশন গঠন হোক। চাই নভেম্বরের মধ্যেই মিডিয়া হাউসগুলো যেন নিজস্ব কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করে।’

গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, ‘মিডিয়াকে গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখনো মিডিয়া ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় বেশি সক্রিয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের ‘অশুভ সহাবস্থান’ বিদ্যমান, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পথে বড় বাধা।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে যদি ফ্যাসিস্টমুক্ত না করা যায়, তাহলে গণমাধ্যমও ফ্যাসিস্টমুক্ত হবে না। এই বাস্তবতা আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা না থাকলে ভালো আইন বা নীতি কখনোই আসবে না।’

সংলাপে সম্প্রচার নীতিমালা, বিটিভি ও বেতারের স্বায়ত্তশাসন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

Link copied!