ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় বলের দখল ও আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েও প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে এই জয়ের ফলে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে প্রথম দুই ম্যাচেই পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে কাতালান জায়ান্টরা।
তিন বছর পর স্পেনের শীর্ষ লিগে ফেরা লেভান্তে, অন্যদিকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের মুখ দেখল। ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। প্রথমার্ধে খেলার ধারার বিপরীতে দুই গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক লেভান্তে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইভান রোমেরো লেভান্তেকে এগিয়ে দেন। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+২ মিনিটে) বাল্দের হাতে বল লাগার ঘটনায় ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি।
পেনাল্টি কিক থেকে ৩৮ বছর বয়সি হোসে লুইস মোরালেস ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই ধাক্কায় প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা।
তবে বিরতির পর পাল্টে যায় খেলার চিত্র। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ৪৯তম মিনিটে ব্যবধান কমান পেদ্রি। লামিনে ইয়ামালের পাস থেকে ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান তিনি।
এরপর মাত্র তিন মিনিট পরই রাফিনিয়ার কর্নারে দারুণ এক ভলিতে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ফেররান তরেস।
এরপর থেকে বার্সেলোনা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে, কিন্তু লেভান্তের গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে বারবার রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্রয়ে শেষ হতে চলেছে, ঠিক তখনই নাটকীয়তার চূড়ান্ত মুহূর্তটি আসে।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে (৯০+১ মিনিটে) ইয়ামালের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান লেভান্তের ডিফেন্ডার উনাই এলগেসাবাল। তার এই আত্মঘাতী গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
পুরো ম্যাচে ৮৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে লেভান্তের ৮ শটের ৫টিই ছিল গোলে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন