ঢাকা সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভারতের কাছে হেরে লজ্জার রেকর্ড পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১২:৪২ এএম
ছবি- সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালো পাকিস্তান। এ নিয়ে টানা ৬ ম্যাচেই ভারতের কাছে হারলো তারা। এদিকে, টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে ভারত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত।  

১৭২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল যোগ করেন ১০৫ রান। ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে গিল আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি।  


 
অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে উইকেটে থিতু হওয়ার কোনো সুযোগ দেননি হ্যারিস রউফ। রানের খাতা খোলার আগেই আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
 
এক প্রান্তে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের বোলারদের একাই শাসন করতে থাকেন অভিষেক শর্মা। এক পর্যায়ে আবরার আহমেদের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে হ্যারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সাঞ্জু স্যামসন আউট হন রউফের বলে বোল্ড হয়ে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৩ রান। 
 
এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিলক ভার্মা। ১৯ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক, অন্য প্রান্তে ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। পাকিস্তানের হয়ে হ্যারিস রউফ নেন ২ উইকেট। এছাড়া আবরার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ নেন ১টি করে উইকেট। 
 
এর আগে, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের পরিবর্তে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন ফখর জামান। শুরুটাও তিনি করেছিলেন ভালোই, তবে বিতর্কিতভাবে আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। 
 
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই ওভারের তৃতীয় বলটা কিছুটা নিচু হয়ে আসলে ফখরের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে থাকা সাঞ্জু স্যামসনের হাতে। ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। ভিডিও রিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে, বলটা স্যামসনের গ্লাভসে যাওয়ার আগে মাটিতে কিছুটা স্পর্শ করেছিল। তবে থার্ড আম্পায়ার রুচিয়া পাল্লিয়াগুরুগে সেটি ভালোভাবে না দেখেই আউট দিয়ে দেন। ধারাভাষ্যকাররাও এই ক্যাচ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। 
 
এরপর সাইম আইয়ুবকে নিয়ে জুটি বাঁধেন শাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৫৫ রান। দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ১৭ বলে ২১ রান করা সাইম আইয়ুব ফিরলে ভাঙে ৪৯ বলে ৭২ রানের জুটি। এক পর্যায়ে ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন শাহিবজাদা ফারহান। 
 
প্রথম ১০ ওভারেই ৯১ রান তোলে পাকিস্তান। ১১.২ ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছায় দলীয় স্কোর। এরপরই রানের গতি কিছুটা থমকে যায়। হুসেইন তালাত ব্যাট করতে নেমে ১১ বল খেললেও রান করেন মাত্র ১০। কুলদীপের বলে ভরুণ চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। 
 
মোহাম্মদ নাওয়াজ অবশ্য খেলার গতি আরও কমিয়ে দেন। উইকেটে এসে ১৯ বল খেললেও রান করেছেন মাত্র ২১। দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। 


 
শেষদিকে ছোট্ট একটি ক্যামিও খেলেন ফাহিম আশরাফ। তার ৮ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসের ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় পাকিস্তান। অন্য প্রান্তে ১৩ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা। ভারতের হয়ে শিভম দুবে নেন ২ উইকেট। এছাড়া কুলদীপ ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ১টি করে উইকেট।