কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঞ্জাবে ব্ল্যাকআউট মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
রোববার (৪ মে) রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।
সেনাবাহিনীর এই মহড়ায় স্থানীয় প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সাধারণ জনগণকে আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়।
মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউটের প্রস্তুতি কেমনভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা পরখ করে দেখা। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয় যেন কেউ আতঙ্কিত না হয়। মহড়ার সময় এলাকায় সাইরেন বাজানো হয় এবং এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় সব আলো।
তবে, মহড়ার পর থেকেই ফিরোজপুরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অনেক বাসিন্দার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যেসব মানুষ অন্য রাজ্য থেকে এখানে কাজ করতে এসেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে চাপা উদ্বেগ।
মহড়ার পর দেখা গেছে, অনেকে রেশন মজুত করতে শুরু করেছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাজারে কম আসছেন, এতে দোকানপাটেও বিক্রি কমে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নেয়- সিমলা চুক্তি স্থগিত করে, আকাশসীমা বন্ধ করে এবং সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
এরপর থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় টানা ১১ রাত ধরে চলছে গোলাগুলি। উভয় দেশই সেনা মোতায়েন ও অস্ত্র মহড়ায় ব্যস্ত। ভারত একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, জবাবে পাকিস্তানও ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
সব মিলিয়ে সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির গন্ধ পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পাঞ্জাবের ব্ল্যাকআউট মহড়া যেন সেই আতঙ্ককে আরও বাস্তব করে তুলেছে।