ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

৩০ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করলো পাকিস্তান, নিহত ২

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
ভারতের পাঠানো ৩০টি  ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পাঠানো ৩০টি ইসরায়েলি কারখানায় নির্মিত কামিকাজে ড্রোন আটক ও ধ্বংস করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এ  ঘটনায় দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তান আইএসপিআরের বরাতে  এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, পাকিস্তানি সেনারা পান্ডো সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপ্রত্যাশিত গোলাবর্ষণের জবাবে কার্যকরভাবে সাড়া দেয়। নাঙ্গা টাক-এ ভারতীয় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ধ্বংস করে এবং অন্যান্য স্থানে গোলাবর্ষণ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ কারণে ভারত হতাশ হয়ে ড্রোন হামলা চালায় বলে মন্তব্য করে পাকিস্তান আইএসপিআর।

পাকিস্তান আইএসপিআরের মতে, কাপুরুষোচিত হামলাগুলো নয়াদিল্লির আতঙ্ক ও কৌশলগত বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ভারতীয় বাহিনী এলওসি-তে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।

আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও পরিকল্পিত জবাব দিচ্ছে। শত্রুপক্ষের সকল পরিকল্পনা বানচাল করে দিচ্ছে। প্রযুক্তিগত এবং অস্ত্রভিত্তিক পদক্ষেপের সমন্বয়ে সকল আগত ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে লাহোরে, ওয়ালটন ওল্ড এয়ারপোর্ট এবং বুরকির কাছে ড্রোন আঘাত হানায় চ৪ জন সেনা আহত এবং সামরিক সম্পদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকার কাছে হামলায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন।

এদিকে, রাওয়ালপিন্ডি এবং অ্যাটকে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। ড্রোনগুলো শহুরে এবং আধা-গ্রামীণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে স্টেডিয়াম রোডের ফুড স্ট্রিটের কাছে একটি দোকানে ধ্বংসাবশেষ পড়ে জানালা ভেঙে দুজন আহত হয়।

এ ঘটনার পর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সকল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবিস্ফোরিত বোমার আশঙ্কায় নিরাপত্তা কর্মীরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। একই সময় আরেকটি ড্রোন রেস কোর্স গ্রাউন্ডের কাছে একটি আবাসিক ভবনের ওপর পড়ে।

একইভাবে গুজরাটের পীরচাঁদ গ্রামে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। সিন্ধুতে ঘোটকি জেলার সরফরাজ লঘারি গ্রামেও ড্রোন হামলা হয়। ফয়সাল মসজিদের কাছে ড্রোন হামলার একটি মিথ্যা খবর ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার ইরফান নওয়াজ মেমন খারিজ করে দেন। তিনি ভুয়ো সাইরেন এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণার কারণে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করেন।

ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অযাচাইকৃত খবর ছড়ানো বা বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ‘ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতির ওপর নির্ভর করুন।’

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ গণমাধ্যমকে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিশোধ ক্রমশ নিশ্চিত হচ্ছে। আমি এখনও বলব না যে এটি ১০০%। কিন্তু পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, আমাদের জবাব দিতে হবে।

তথ্যসূত্র:  দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।