গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও উচ্ছেদ নীতির ফলে অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমানে ‘বাধ্যতামূলক’ বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি। গাজাবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা দিনদিন সংকুচিত হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল দক্ষিণ গাজা থেকে নতুন করে উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই গাজাবাসীদের উচ্ছেদ করে সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে গাজার এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী পুনরায় ঘরছাড়া হয়েছে কেবল গত মাসেই।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গাজা এখন সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি।’ তারা ৮০টি দেশের যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘এই বিবৃতি ইসরায়েলের গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের চলমান অপরাধের আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যানকে দৃঢ় করে।’
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস আরও জানায়, ‘এই ৮০টি দেশের গৃহীত অবস্থানের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া, অনাহারের দায়ে দায়ী অপরাধ বন্ধ করা এবং তাদের ওপর আরোপিত অবরোধ ভেঙে কার্যকর চাপ প্রয়োগ করা।’
উল্লেখ্য, ২১ মে (বুধবার) থেকে কারীম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৯০টি ট্রাক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে ত্রাণসামগ্রীর পরিমাণ এবং সরবরাহের গতি চরম সংকট মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :