মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হামাস স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত বলে প্রমাণ দিয়েছে। এখন দায়িত্ব নেতানিয়াহুর সরকারের।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন কথা শুনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্মিত এবং হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
এই প্রস্তাব অনুমোদন দিতে নেতানিয়াহুকে এখন তার সরকারের সাথে কথা বলে, জোটে থাকা দলগুলোর মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটির মাধ্যমে পাস করতে হবে।
কিন্তু ইসরায়েলি বিরোধী নেতা বলছেন যে, নেতানিয়াহুর একটি রাজনৈতিক সুরক্ষা জাল থাকবে। এর অর্থ হলো নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের সদস্যরা যদি এই চুক্তিতে জড়িত হতে না চায় তবে বিরোধী দলগুলো হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং এক ধরণের ঐক্য সরকার গঠন করতে পারে। তারা (ঐক্য সরকার) এই চুক্তিটি পাস করবে, এবং তারপরে দেশটি নির্বাচনে যাবে।
এদিকে ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন, যার মধ্যে গাজার অভ্যন্তরে বোমাবর্ষণ বন্ধ করাও অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন যে বোমাবর্ষণ চলতে থাকলে সেখানে আটক থাকা বন্দিদের ক্ষতি হবে এবং সম্ভবত তাদের মৃত্যুও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মার্কিন পরিকল্পনার কিছু শর্ত মেনে নিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেয় হামাস। হামাসকে রোববারের মধ্যে পরিকল্পনা মেনে না নিলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে, ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারির পরে শুক্রবার হামাস ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেয়। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরায়েল ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে জিম্মিদের মুক্তি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।