বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে ধারণা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বহু শিশু শিক্ষার্থী। এই সংকটের সময় বাংলাদেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনার দিনই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। এরপরই ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ভারতের হাই কমিশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য যদি বিশেষ কোনো চিকিৎসকের সাহায্য বা চিকিৎসা ব্যবস্থার দরকার হয়, তাহলে ভারত থেকে তা দ্রুত পাঠানো হবে। এই কারণে বাংলাদেশের সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কার কী ধরনের চিকিৎসা দরকার এবং এখন পর্যন্ত কী চিকিৎসা হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, এই মানবিক বিপর্যয়ে যেকোনও চিকিৎসা পরিষেবা দ্রুত ও নিঃশর্তভাবে পৌঁছে দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত। হাই কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রশাসনিক সাহায্য করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘ঢাকায় এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। যারা প্রাণ হারিয়েছেন কিংবা আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই শিক্ষার্থী। তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টা নাগাদ উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের উপর ভেঙে পড়ে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয় এবং দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। দমকলের আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুর্ঘটনায় পাইলটেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড়েছিল, আর তার ঠিক ১২ মিনিট পরেই বিধ্বস্ত হয়।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনূস। সামাজিকমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’ সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণ তদন্তের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোকদিবস।