ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

মার্কিন শুল্ক চাপের মধ্যেই চীন যাচ্ছেন মোদি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে উত্তাপের মধ্যেই চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের তিয়ানজিনে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন। সামিটে যোগদানের জন্য বেইজিং সফর করবেন তিনি। এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও স্থবির হওয়ার ইঙ্গিত।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। এই সফরের পাশাপাশি বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে জাপানও সফর করবেন তিনি। অর্থাৎ চীনের সামিটে যোগ দেওয়ার আগে ৩০ আগস্ট জাপান সফর করবেন মোদি। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চীনে পৌঁছবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ২০১৯ সালের পরে এই প্রথম চিন সফর হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর। ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চীনের সীমান্তরক্ষীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। দীর্ঘ আলোচনার পরে ধীরে ধীরে অস্বস্তিমুক্ত হয়েছে দু’দেশের সম্পর্ক।

বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি অবগত সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মোদি ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া বহুপাক্ষিক এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীন যাবেন। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

মোদির এই সফর এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর এশিয়ার যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের ওপর আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

এবার মোদি চীনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিতব্য ইউরেশিয়ান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের জুনের পর এটাই তার প্রথমবার এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ। তবে ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে চীন ও ভারতের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার পর এই সফরকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদি। এশিয়ার এই বড় প্রতিবেশীরা এখন ধীরে ধীরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ভ্রমণকে বাধাগ্রস্ত করে এমন উত্তেজনা প্রশমিত করছে।

এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল নির্ধারিত সফরে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের ওপর রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধের চাপ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, ডোভালের এই সফরে রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।