ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলায় আরও অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৩৭ জন। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল তাদের বৃহত্তর সামরিক অভিযানের আগে হামলার মাত্রা আরও বাড়াচ্ছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আলজাজিরার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি স্কুল ভবনের ওপর ইসরায়েলের একটি কোয়াডকপ্টার ঘুরতে থাকে। ওই ভবনে আশপাশের শতাধিক বাসিন্দা অস্থায়ী আশ্রয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর কোয়াডকপ্টারটি লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১২ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
-20250822231309.webp)
এছাড়া গাজার আল-আহলি হাসপাতালের একটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, হামাস যদি যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েলের শর্ত না মানে, তবে গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘গাজায় হামাসের খুনি ও ধর্ষকদের মাথার ওপর খুব শিগগির নরকের দরজা খুলে যাবে, যতক্ষণ না তারা যুদ্ধ শেষ করার শর্ত মেনে নিচ্ছে।’
কাটজ পুনরায় ইসরায়েলের শর্তগুলো উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে সব বন্দিকে মুক্তি ও হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।
