যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ছয় সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ৫০০ বার গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
একই সময়ে, ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ঘোষণা করেছে যে তারা গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আরেকটি ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ উদ্ধার করেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) নিহতদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ বানি সুহেইলা শহরের একজন ফিলিস্তিনি পুরুষ, যাকে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন 'ইয়েলো লাইনের' বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় উত্তর গাজা সিটির এক শিশুও মারা যায়। স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, আরও কয়েকজন শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
গাজা সিটি থেকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজুম জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলা দিনব্যাপী অব্যাহত ছিল। আর্টিলারি, বিমান হামলা এবং হেলিকপ্টার স্ট্রাইক রির্পোট করা হয়েছে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে। আবু আজুম বলেন, ইয়োলো লাইনের বাইরে ব্যাপক ইসরায়েলি হামলায় গাজার পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মধ্যগাজার মাগাজি ক্যাম্পে সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও রেড ক্রসের সহায়তায় একই পরিবারের আট সদস্যের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেছে।গাজা সরকারী মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে মোট ৫৮২টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং এখনও ৯,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ।
এছাড়াও, মার্কিন সমর্থিত মানবিক সংস্থা জিএইচএফ ঘোষণা করেছে তারা গাজায় তাদের কার্যক্রম শেষ করছে। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তই তাদের প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের মে থেকে এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে কমপক্ষে ৮৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।



