ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর নতুন যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে এর নিন্দা করেছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) কারাকাস থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
কারাকাস বলেছে, এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক মার্কিন সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব হামলা মাদক চক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে। আসলে সেগুলো বামপন্থি নেতা মাদুরোকে উৎখাতের একটি চক্রান্ত।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো পরিচালিত দ্বিতীয় যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া। অক্টোবরে, একটি মার্কিন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী অনুশীলন মহড়ার জন্য ত্রিনিদাদে ভেনেজুয়েলার ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে চার দিনের জন্য নোঙর করে। ভেনিজুয়েলার সরকার একে ‘উসকানি’ বলে অভিহিত করে।
শনিবার কারাকাসে এক অনুষ্ঠানে মাদুরো বলেন, ‘ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো সরকার আবারও দায়িত্বজ্ঞানহীন মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে, সুক্রে রাজ্যের উপকূলে তার জলসীমায় সামরিক মহড়ার ব্যবস্থা করেছে যা ভেনেজুয়েলার মতো একটি প্রজাতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ, যারা নিজেদের কারো হুমকির সম্মুখীন হতে দেয় না।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ল্যাটিন আমেরিকায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং মাদক চোরাচালানের অভিযোগে ২১টি নৌকায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৮০ জনকে হত্যা করেছে।

অবশ্য যারা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে ছিল তারা যে পাচারকারী ওয়াশিংটন তার কোনো প্রমাণ দেয়নি। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছে।
মঙ্গলবার, একটি মার্কিন বিমানবাহী বাহক স্ট্রাইক গ্রুপও এই অঞ্চলে পৌঁছেছে। ফলে কারাকাস ব্যাপক প্রতিশোধমূলক মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হেগসেথ বৃহস্পতিবার ‘আমাদের গোলার্ধের মাদক-সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে একটি সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এটি বিদ্যমান মার্কিন সামরিক মোতায়েনের থেকে কীভাবে আলাদা হতে পারে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন