যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ওভাল অফিসে বৈঠকে অংশ নিতে যান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তবে আলোচনার একপর্যায়ে ট্রাম্প ‘শেতাঙ্গদের ওপর গণহত্যা’ অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে অপমান করার চেষ্টা করেন রামাফোসাকে। পরিস্থিতি শান্তভাবে সামাল দেন দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে অপমান করেন ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। সিরিল রামাফোসার ক্ষেত্রেও এমন কিছু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ও শান্ত আচরণে রামাফোসা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলে নেন।
এ ছাড়া কিছু কৌশলও অবলম্বন করেন আফ্রিকান প্রেসিডেন্ট। তিনি তার সঙ্গে দেশটির সেরা তিন শেতাঙ্গ গলফারকে সঙ্গে নিয়ে যান। এ ছাড়া তার সঙ্গে ছিল তার শেতাঙ্গ কৃষিমন্ত্রীও।
বৈঠকটি শুরু হয় হাসিমুখে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদের একটি বিতর্কিত ভিডিও ক্লিপ প্রজেক্টরে দেখানোর নির্দেশ দেন। এতে এক সাংসদ ‘বন্য শূকরদের গুলি করুন’ বলে মন্তব্য করছেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি বিতর্কিত স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এ ছাড়া ট্রাম্প টিভি ক্যামেরার সামনেই শেতাঙ্গদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও দেখান।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ২৪ হাজার জনকে হত্যার মধ্যে মাত্র ৫০টির কম ঘটনা শেতাঙ্গ কৃষকদের লক্ষ্য করে সংঘটিত হয়েছে। অর্থাৎ ট্রাম্পের ‘শেতাঙ্গ গণহত্যা’ অভিযোগ তথ্যভিত্তিক নয়।
ট্রাম্পের অভিযোগের জবাবে রামাফোসা বলেন, ‘যদি শেতাঙ্গদের ওপর গণহত্যা চলত, তাহলে কি এই তিন শেতাঙ্গ গলফার এখন আপনার সামনে উপস্থিত থাকতেন?’
শেতাঙ্গ গণহত্যার অভিযোগ তুলে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন। সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো নিয়েই মূলত আলোচনা করতে রামাফোসা যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গেছেন।
সূত্র : বিবিসি