সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম

জানালেন ঢাবি উপাচার্য

সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নীলক্ষেত  থেকে ডাকসুর ব্যালট ছাপিয়েছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম

সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নীলক্ষেত  থেকে ডাকসুর ব্যালট ছাপিয়েছে

সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নীলক্ষেত থেকে ডাকসুর ব্যালট ছাপিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে নির্বাচনের সব সুরক্ষা পর্বে কোনো বিচ্যুতি হয়নি। ব্যালট ছাপানো বা সরবরাহকারী মূল প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রেখে পাঁচ পর্ব (ছাপানো, সঠিক মাপে কাটিং করা, সিকিউরিটি কোড বসানো, মেশিনে প্রি-স্ক্যান করা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষর ও সিল) নিশ্চিত করেছি। এ ছাড়া আমরা পুনর্নিরীক্ষণ করে দেখেছি, ২৯ হাজার ৮২১ ভোট প্রদানকারী বা কাস্ট ভোট এবং স্বাক্ষর সংবলিত ভোটারদের মধ্যে কোনো অসংগতি খুঁজে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

গতকাল রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল পাঠদান কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘সব নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে আমাদের মূল ভেন্ডরের সঙ্গে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেত থেকে ব্যালট ছাপিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। তবে আমাদের মধ্যে সুরক্ষা পর্বে কোনো বিচ্যুতি হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সহযোগী ভেন্ডরের তথ্য অনুযায়ী, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়, যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়। ভেন্ডর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরও জানায়, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। ব্যালট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানান, তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা-নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে তারা নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।’

নিয়াজ আহমদ খান বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী, চূড়ান্তভাবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪। ভোটারপ্রতি ৬টি ব্যালট। মোট ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। মোট ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি। অবশিষ্ট ব্যালট ৬০ হাজার ৩১৮।

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর সেই সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানানোর বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এবং তারা এটি কেন করেছেÑ সেই ব্যাখ্যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।’

প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয় নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি অভিযোগ আমরা দেখেছি ও তদন্ত করেছি। ব্যক্তিপর্যায়ের অভিযোগগুলো ৬৯ বিধি অনুযায়ী উত্তর দিয়েছি।’

সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখানোর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এসব উত্তর দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এ বিষয়ে এর আগে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি, কোনো প্রার্থী যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের বা কোনো একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার তালিকা দেখানোর বিষয়ে আমরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ নি¤œরূপÑ কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে নির্দিষ্ট কারও স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেখানো যেতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!