স্থগিতাদেশের মধ্যেও বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই

তপশিল অনুযায়ী আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আসন্ন এ নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়নের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেটি আগামী ৫ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত বহাল থাকছে। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব গতকাল এ আদেশ দেন। তবে এর মাঝে বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানালেন ক্রিকেট বোর্ডের আইনজীবী মাহিন এম রহমান।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর মনোনয়নের ফরম বাতিল করে নতুন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে বিসিবি সভাপতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভাগীয়/জেলা ক্রীড়া সংস্থা বরাবর চিঠি দেন। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ২২ সেপ্টেম্বর রুলসহ আদেশ দেন। বিসিবির সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ২২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে। চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হলো এবং সে সময় পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের গতকাল কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ১৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ শুনানিতে ছিলেন। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস শুনানিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান।

বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচিত ২৫ জন পরিচালকের মধ্য থেকে বোর্ড সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। বিসিবির সাধারণ পরিষদের সদস্যরাই (কাউন্সিলর) পরিচালক পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। সর্বশেষ বিসিবি নির্বাচনে কাউন্সিলরদের সংখ্যা ছিল ১৭০ জনের মতো। এবার বিসিবির নির্বাচনে কাউন্সিলরসংখ্যা ১৯২।